(শামীম সরকার )স্টাফ রিপোর্টার :
শান্ত প্রকৃতি ও কালো রঙের হওয়ায় নাম রাখা হয়েছে ‘কিশোর শান্ত । কিশোর শান্ত লম্বায় পাঁচ ফুট দশ ইঞ্চি । ওজন প্রায় ৬০০কেজি। বয়স দুই বছর সাত মাস। কিশোর শান্ত ক্রস জাতের ষাঁড়। এবার কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য তাকে প্রস্তুত করা হয়েছে। তাকে লালন পালন করা হচ্ছে কিশোরগঞ্জ জেলা হোসেনপুর উপজেলার জগদল গ্রামের মোবারক হোসেন তরুণ উদ্যোক্তা মোবারক হোসেন বাড়িতে । এবার কোরবানির ঈদে কিশোর শান্ত উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু বলে দাবি করেন মোবারক হোসেন। জানা যায়, দুই বছর সাত মাস আগে তরুণ উদ্যোক্তা মোবারক হোসেন বাজার থেকে কিনে আনেন কিশোর শান্ত । এরপর থেকে তাকে কোনো ক্ষতিকর ওষুধ ছাড়াই দেশীয় খাবার খাইয়ে লালন-পালন করা হচ্ছে। ষাঁড়টির নাম কিশোর শান্ত ও বেশি বড় হওয়ায় আগ্রহ নিয়ে তাকে দেখতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ এসে ভিড় করছেন। মাঝে মধ্যে ক্রেতারাও আসছেন ষাঁড়টি কিনতে। মোবারক হোসেন এই ষাঁড়টির দাম হাঁকছেন ১০লাখ টাকা। কিশোর শান্ত মালিক মোবারক হোসেন বলেন, ষাঁড়টি দেখতে কালো। ষাঁড়টি খুবই শান্ত প্রকৃতির। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতরের পরামর্শক্রমে কোনো ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার ছাড়াই দেশীয় খাবার খাইয়ে গরুটিকে লালন-পালন করেছি। এখন ষাঁড়টির ওজন হয়েছে প্রায় ৬০০ কেজি । ষাঁড়টির দাম চাচ্ছি ১০ লাখ টাকা, তবে আলোচনা সাপেক্ষে কম টাকায় বিক্রি করতে পারি। তিনি আরও বলেন, ২০১৯ সালের শেষের দিকে কিশোর শান্ত কে কিনে লালন পালন করা হয়। । এবার কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, দেশীয় খাবার খাইয়ে ষাঁড়টিকে লালন-পালন করা হচ্ছে। আমরা ষাঁড়টিকে নিয়মিত দেখাশোনা করছি। উপজেলায় এই ষাঁড়টিই সবচেয়ে বড়। হোসেনপুর থানার ওসি বলেন, কোরবানির পশু চুরি ঠেকাতে উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন পয়েন্টে রাতে পুলিশের বিশেষ টহল তৎপর রয়েছে।