কোভ্যাক্সিন করোনা প্রতিরোধে ৭৮ শতাংশ কার্যকরী, তৃতীয় দফার ট্রায়ালের তথ্যে দাবি ভারত বায়োটেকের

নয়াদিল্লি: করোনা প্রতিরোধে প্রায় ৭৮ শতাংশ সক্ষম ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন। তৃতীয়    ক্লিনিক্যাল  ট্রায়ালের তথ্য  উল্লেখ করে এই দাবি করল টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত বায়োটেক। রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্বেচ্ছাসেবকের মধ্যে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার মান ৭৭.৮ শতাংশ। রিপোর্টে ভারত বায়োটেকের দাবি, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ৬৫.২ শতাংশ কাজ করে কোভ্যাক্সিন। ফলে অনেকটাই কার্যকরী।

সংস্থার দাবি, গুরুতর উপসর্গযুক্ত করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিন ৯৩.৪ শতাংশ কার্যকরী। সামান্য ও গুরুতর সংক্রমণের ক্ষেত্রে ৭৮ শতাংশ কার্যকরী বলে দেখা গিয়েছে। উপসর্গহীন সংক্রমণের ক্ষেত্রে তা ৬৩ শতাংশ কার্যকরী। কোম্পানি তাদের ফলাফলে জানিয়েছে, ট্রায়ালে ১৮ থেকে ৯৮ বছরের ২৫,৮০০ স্বেচ্ছাসেবককে সামিল করা হয়েছিল। দেশের ২৫ টি  জায়গায় পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবীদের টিকার দুটি ডোজ প্রদানের পর তাঁদের স্বাস্থ্যের ওপর প্রায় দুই সপ্তাহ নজর রাখা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বর্তমানে দেশে যে ভ্যাকসিনগুলির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল, সেগুলির মধ্যে অন্যতম দেশে তৈরি ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন। কিছু দিন আগেই ভারত বায়োটে তাদের ভ্যাকসিনের তৃতীয় দফার ট্রায়ালের অনুয়ায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত করোনা টিকার ৩৪ কোটি ৭৬ হাজার ২৩২ ডোজ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ২৭ কোটি ৯৪ লক্ষ ৫৪ হাজার ০৯১ জনকে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। আর ৬ কোটি ৬ লক্ষ ২২ হাজার ১৪১ জনকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। ৪৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সীদের মধ্যে ৮,৯২,৪৬,৯৩৪ জন প্রথম ও ১,৬৮,৫৫,৬৭৬ জনকে দুটি ডোজই দেওয়া হয়েছে। ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের ৬,৮৩,৫৫,৮৮৭ জন প্রথম ও ২,৪৬,৭০,৫৭৬ জনকে দুটি ডোজই দেওয়া হয়েছে। ফলে কোভিশীল্ডের পাশাপাশি কোভ্যাক্সিনের ব্যবহার কিছুটা বাড়বে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।

Latest articles

Related articles