জঙ্গিপুরে সাড়ম্বরে পালিত হল ‘খেলা হবে দিবস’

আব্দুস সামাদ,জঙ্গিপুর: স্বাধীনতা দিবসের পরের দিন খেলা হবে দিবস পালন করার কথা জানিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন কারণ হিসেবে জানিয়েছেন, স্বাধীনতার পরের দিন যাতে মানুষের স্বাধীনতা অক্ষুন্ন থাকে, স্বাধীনতার ভাষা কণ্ঠরোধ না হয়, তার জন্য খেলাধুলার মাধ্যমে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ রাখা হবে।

 

এইদিন এক লক্ষ ফুটবল রাজ্যের একাধিক ক্লাব সংগঠন ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানদের হাতে দেওয়া হয়, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাতে তৈরি রাজ্য সরকারের জল বিতরণ করা হয়। রাজ্যের নবীন প্রজন্ম যাতে খেলাধুলায় এগিয়ে যেতে পারে, সেজন্য খেলা হবে দিবস পালন করলো রাজ্য সরকার।

রাজ্যজুড়ে খেলা হবে দিবস পালন করে ঐক্য ও সংহতির বন্ধনে রাজ্যকে বাঁধতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, এদিন অর্থাৎ ১৬ই আগস্ট মুর্শিদাবাদ জেলার প্রতিটি ব্লকে, পৌরসভায় এই খেলা হবে দিবস পালন করা হয়। তেমনই জঙ্গিপুর বিধানসভা, জঙ্গিপুর পৌরসভা, রঘুনাথগঞ্জ বিধানসভায় এই খেলা হবে দিবস পালন করা হয়। রঘুনাথগঞ্জ বিধানসভায় খেলা হবে দিবস উদযাপনে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিদ্যুৎ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামান, ব্লক সভাপতি সমির উদ্দিন বিশ্বাস ও পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী শাহিন সিদ্দিকা, অঞ্চলের সভাপতি প্রধান, উপপ্রধান, ও সাংগঠনিক কর্মী বৃন্দ।

 

এই খেলা দিবস উদযাপনে বারোটি পঞ্চায়েত থেকে একটি করে টিম অংশগ্রহণ করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য। অপরদিকে, জঙ্গিপুর পৌরসভার পৌর প্রশাসক মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে খেলা হবে দিবস উদযাপন করা হয় জঙ্গিপুর বড় বাগান ফুটবল ময়দানে। এদিন দুটি জায়গা থেকেই ক্লাব এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর রেজিস্ট্রি তে ক্লাবের ফুটবল প্রদান করা হয়।

 

এই খেলায় বিভিন্ন জায়গায় খেলার আনন্দ উপভোগ করার জন্য হাজার হাজার মানুষের জমায়েত হয়। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায় আজও করোনার দোহাই দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পড়ুয়াদের বেহাল অবস্থা। আগামীতে স্কুল ছুটের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে হাজার হাজার। সরকারের প্রত্যেকটি কর্মসূচিতে হাজার হাজার মানুষের জমায়েত করে ভোট সহ বিভিন্ন কর্মসূচি হতে পারে। শুধু খুলতে পারেনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান! হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান উদযাপিত হতে পারে কিন্তু পিছিয়ে থাকবে পড়ুয়ারা? প্রশ্ন সাধারণ মানুষের।

Latest articles

Related articles