সুদীপ রায়বর্মণের হাত ধরেই ত্রিপুরা বিজেপিতে বড় ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আর তা আটকাতেই ত্রিপুরায় হঠাত্ সক্রিয় হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় বিজেপি। এখন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাখির চোখ ২০২৪ সালের লোকসভা ভোট। সেই লক্ষ্যেই একাধিক রাজ্যে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য এগোচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই বিজেপি ছেড়ে দলে ফিরে এসেছেন মুকুল রায়। আর ত্রিপুরায় ফের সংগঠন সাজাতে সেই মুকুলকে কাজে লাগাতে চাইছে এ রাজ্যের শাসক দল। এতেই নড়েচড়ে বসেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বাংলার মতো ভরাডুবি যাতে ত্রিপুরায় না হয়, সেই কারণে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করলেন বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে সমস্যার শুরু। এটা কি ত্রিপুরায় বিজেপি শিবিরে ভাঙনের ইঙ্গিত? প্রশ্ন উঠেছে। বৃহস্পতিবার বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে একটি ফেসবুক পোস্ট করেন। তাতে তিনটি মূল প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন তিনি। স্থানীয় ভাষা হিসাবে ওই পরীক্ষায় কীভাবে ইংরাজি স্থান পেল, সে প্রশ্ন তুলেছেন। পরীক্ষার সিলেবাস নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। কেন সাধারণ জ্ঞানের ক্ষেত্রে সিলেবাসের পরিসীমা নির্দিষ্ট নেই, সেই প্রশ্নও তোলেন বিধায়ক। এছাড়া স্থানীয়দের অধিকার কেন নিশ্চিত হল না পরীক্ষাতে, সে প্রসঙ্গেও ক্ষোভ উগড়ে দেন সুদীপ। তাঁর ফেসবুক পোস্ট নজর এড়ায়নি নেটিজেনদের।