আগে বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী না হওয়া পর্যন্ত ঘাটালের মানুষ জলযন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবে না। যা নিয়ে শুধু বিজেপি কেন, বিরোধী অনেকেই কটাক্ষ করেছিলেন। এবার সেই মন্তব্যের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিতর্ক আরও বাড়িয়ে তুললেন তৃণমূলের অভিনেতা সাংসদ দেব। ঘাটালের জলযন্ত্রণা প্রতিবছরের। প্রতিবছরেই বর্ষায় সেখানকার কোনও কোনও জায়গার বাড়ির একতলা জলে ডুবে যায়। যাঁদের বাড়ি একতলা, তাঁরা অন্য কোথাও গিয়ে আশ্রয় নেন। ডিভিসির ছাড়া জলে বিঘের পর বিঘে চাষের জমি চলে যায় জলের তলায়। আর বর্ষার সময়ই সবার মনে পড়ে যায় ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কথা। যা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে দড়ি টানাটানিও কম নয়। এবারও তা প্রকট হয়ে উঠেছে।
তবে ঘাটালের বন্যা মোকাবিলার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী করার প্রসঙ্গ জুড়ে তাঁর পুরনো মন্তব্য মনে করিয়ে দিলে দেব বলেন, ‘‘ঘাটালের মানুষের কষ্টের কথা দিল্লিতে একাধিকবার বলেছি। আজও সেই কারণে দিল্লি আসা। কিন্তু কারও কানে সেই আওয়াজ পৌঁছচ্ছে না। আমার মনে হয়েছিল, দিদি প্রধানমন্ত্রী হলে হয়ত সমস্যার সমাধান হবে। তাই ওই কথা বলেছিলাম। পয়েন্ট বাড়ানোর উদ্দেশ্য নিয়ে বলিনি।’’ এর পরেই দেবের মন্তব্য, ‘‘একজন বাঙালি যদি প্রধানমন্ত্রী হন, এ-ও বলছি, বিজেপির যদি কেউ (প্রধানমন্ত্রী) হন, যিনি মানুষের কষ্ট বুঝবেন… শুধু ভোটের সময়ে সোনার বাংলা গড়ার কথা বলবেন না…..। আমার মতে, একজন বাঙালি যদি প্রধানমন্ত্রী হতেন, তা হলে ওই সমস্যা দূর হত।’’
দেবের মুখে বাঙালি কোনও বিজেপি নেতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথা শুনে অস্বস্তিতে পড়ে যান সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত মানস ভুঁইয়া, সুখেন্দুশেখর রায়ের মতো পোড়খাওয়া তৃণমূল নেতারা। পরে দেবকে আরও প্রশ্ন করা হলে অভিনেতা, সাংসদকে জবাব দিতে দেননি সুখেন্দুবাবু। তিনি বলেন, ‘‘আমি উত্তর দিচ্ছি। দেব আর কিছু বলবেন না। দেব যা বলার বলে দিয়েছে।