বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বীরভূম সফরে এসে বর্তমান দলীয় পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক প্রশ্নের উত্তর দেন। এই সকল প্রশ্নের মধ্যে উঠে আসে বিজেপি বিধায়কের দলবদল থেকে বিজেপি নেতা কর্মী এবং বিধায়কদের উপর রুজু হওয়া বিভিন্ন মামলা। আর এই সকল প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ‘দলবদল এখন ফ্যাশন, বিধায়ক রা তো আর গরু-ছাগল নয় যে ধরে রাখবো।’
দিলীপ ঘোষ এদিন দলবদল প্রসঙ্গে বলেন, “তিন চারজন ছিলেন আছেন যারা কখনো পার্টির সঙ্গে আসেনি। অন্য সংগঠনের লোক নিয়ে আমরা ক্যান্ডিডেট করেছিলাম। তোমাদের পার্টি তো প্রথম থেকেই এতে বিরোধ ছিল। কিন্তু আমরা তাদের জায়গা দিয়েছি, তারা দিতে এসেছেন জনগণের ভোটে। পার্টি তাদের সম্মানের সঙ্গে জায়গা দিয়েছে। কিন্তু তাদের কোনো না কোনো ব্যক্তিগত সমস্যা আছে।”
এদিন কিছুটা আক্ষেপের সুরেই বিজেপি সাংসদ বলেন, রাজনীতিতে যাদের পাল্লা ভারী থাকে সেদিকেই লোক যায়। তৃণমূল ত্যাগীদের বিজেপিতে গুরুত্ব দেওয়া প্রার্থী হওয়া যে দলের অন্দরেই ভাঙন ধরিয়েছিল, ইঙ্গিতে এদিন তাও বুঝিয়েছেন দিলীপ। তবে লড়াই চালিয়ে যেতে প্রস্তুত বলেই জানিয়েছেন তিনি।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা দখলের মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছিল গেরুয়া শিবির। দাবি করেছিল, ২০০ টি আসন পাবেন তাঁরা। যদিও ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, ৭৭ টি আসনে জয় পেয়েছে বিজেপি। তবে নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার বিধায়ক পদ গ্রহণ না করায় বাংলায় বিজেপি বিধায়কের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ৭৫-এ। তারপর দল ছেড়েছেন মুকুল রায়, বিষ্ণুপুরের তন্ময় ঘোষ, বাগদা বিশ্বজিৎ দাস, কালিয়াগঞ্জের সৌমেন রায়। উল্লেখ্য, তৃণমূলের দাবি আরও একাধিক বিজেপি বিধায়ক যোগ দিতে পারেন তৃণমূলে।
সূত্রের খবর, যেদিন বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস তৃণমূলে যোগ দেন, সে দিনই সৌমেন রায়েরও তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একটু অপেক্ষা করেই তৃণমূলে যোগ দিলেন তিনি। ঘটনাচক্রে, সৌমেন রায়ও আগে তৃণমূলেই ছিলেন। কিন্তু বাকি দলবদলুদের মতো ভোটের আগে তিনিও তৃণমূলে যোগ দেন। মুকুল দল ছাড়ার পরই বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে দাবি করতে শোনা গিয়েছিল, যারা যারা দল ছাড়ার তারা এখনই ছেড়ে চলে যাক। যদিও এক ধাক্কায় কেউই দল ছাড়েননি।