নিউজ ডেস্ক : ভারতে কোচিং করাতে আসার পর নরচায়েভই প্রথম ফুটবলার যিনি আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের ম্যানেজ করা কোন দলের বিরুদ্ধে হ্যাট-ট্রিক করকে সক্ষম হয়েছেন। প্রথমার্ধে পাঁচ গোল দেওয়ার পরে দ্বিতীয়ার্ধেও একাধিক সুযোগ তৈরি করতে সক্ষম হয় নাসাফ। তবে নিজেদের প্রথমার্ধের গোলের ওপর আর একটিই গোল যোগ করতে সক্ষম হয় উজবেকিস্তানের দল। ৬-০ ব্যবধানে হারলেও এই অভিজ্ঞতা থেকে শিখে আসন্ন আইএসএল মরশুমে ফের দারুণ পারফর্ম করার লক্ষ্যে নামবে এটিকে মোহনবাগান।
ম্যাচ শুরু হতেই গোল খাওয়াও শুরু করে দিয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। আপাত নির্বিষ কর্নার থেকে আত্মঘাতী গোল করে বসেন প্রীতম। ম্যাকহিউয়ের হেড প্রীতমের গায়ে লেগে ঢুকে যায়।
এরপর গোটা ম্যাচে বিশেষ কিছু করতে হয়নি কলকাতার এই দলটিকে। যা করার করে গিয়েছেন নাসাফের ফুটবলাররা। ৩২ মিনিটের মধ্যেই নিজের হ্যাটট্রিক করে ফেলেন খুসেন নরচায়েভ। ১৭ মিনিটে নাসুরুলয়েভের বাঁদিক থেকে বাড়ানো ক্রস থেকে সুযোগসন্ধানী স্ট্রাইকারের মতো গোল করে যান নরচায়েভ। চার মিনিটের মধ্যে দলের হয়ে তৃতীয় গোল করে ফেলেন তিনি। নাসুরুলয়েভের শট ফিরে এলে পেনাল্টি বক্সের মধ্যে দু’বার শট করার সুযোগ পান নরচায়েভ। প্রথম বার তাঁর শট প্রীতমের গায়ে লাগলেও দ্বিতীয় শটে গোল করেন।
দুবাইয়ে ছ’দিনের শিবিরে হাবাস কি রণকৌশল সাজিয়েছেন বোঝা গেল না। নাসাফের মতো দলের বিরুদ্ধে প্রথমে তিন ডিফেন্ডার নিয়ে দল সাজিয়েছিলেন। ম্যাচ শুরু হওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে ফর্মেশন বদলে ৪-৩-৩ এ চলে যান হাবাস। বিদেশের মাটিতে নকআউট ম্যাচে উজবেকিস্তানের সবচেয়ে শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে শুরুতেই কীভাবে তিন স্ট্রাইকার রাখার দুঃসাহস দেখলেন হাবাস বোধগম্য হল না। তার খেসারত দিতে হল। বিরতির ঠিক আগে নিজেদের পাঁচ নম্বর গোলটা তুলে নেয় নাসাফ। ৪৩ মিনিটে পেনাল্টি মিসের প্রায়শ্চিত্ত করে বোজোরভ। বিরতির পর কিছুটা ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে হাবাসের দল। তুলনামূলকভাবে মাঝমাঠে সংগঠিত ফুটবল খেলার চেষ্টা করে লিস্টন, সাহিল। তাতে কিছুটা মান বাঁচে। দ্বিতীয়ার্ধে মাত্র একটা গোল হজম করে এটিকে মোহনবাগান। ৭১ মিনিটে কফিনের শেষ পেরেক পোঁতে নারজুল্লায়েভ।