এনবিটিভি ডেস্কঃ যুবকের ঝুলন্ত দেহ মিললো থানার মধ্যে থেকে।ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের কাসগঞ্জে । এক মহিলার সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে যুবককে থানায় ডাকা হয়। তার পরেই যুবকের ঝুলন্ত দেহ মেলে থানার অন্দরেই।আলতাফ (২২) নামের ওই যুবকটি উত্তরপ্রদেশের ইটা জেলার বাসিন্দা ।
এনডিটিভি সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুশারে বলা হয়, থানার অন্দরেই যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে ওই থানার পুলিশের বিরুদ্ধে।অভিযোগের ভিত্তিতে ইটা জেলায় পাঁচ পুলিশকে বরখাস্ত করা হয়।
উল্লেখ্য,গত সপ্তাহে এক নারীকে অপহরণ ও জোরপূর্বক বিয়ের অভিযোগ ওঠে ওই যুবকের বিরুদ্ধে।যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলাও দায়ের করা হয় ।ওই মামলার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আলতাফ নামে ওই ব্যক্তিকে মঙ্গলবার সকালে থানায় নিয়ে আসা হয়।
কাসগঞ্জের পুলিশ সুপার রোহন প্রমোদের বুধবার টুইটারে প্রকাশিত একটি ভিডিও বিবৃতিতে বলা হয়,”যুবকটি থানার টয়লেট ব্যাবহার করতে গিয়েছিলেন,কয়েক মিনিট পরেও তিনি না ফিরলে পুলিশ টয়লেটের ভিতরে প্রবেশ করে ঝুলন্ত দেহ মেলে।”
টুইটারে আরও বলা হয়,”যুবকটি একটি কালো জ্যাকেট পরেছিলেন,সম্ভবত তিনি জ্যাকেটের হুডের সাথে যুক্ত স্ট্রিংটি ওয়াশরুমের একটি কলের সাথে লাগিয়েছিলেন তারপরেই নিজেকে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করেছিলেন। যুবকটি অচেতন অবস্থায় বের করে আনা হয়, নিকটবর্তি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।হাসপাতালের পক্ষ থেকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।”
এদিকে আলতাফের বাবা চাঁদ মিয়া বলেন, “আমি আমার ছেলেকে পুলিশের নিকট স্ব-ইচ্ছায় পাঠাই,কিন্তু আমার মনে হচ্ছে আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে, তবে এই ঘটনাকে তদন্ত করতে হবে।”
অন্য একজন আত্মীয় অভিযোগ তুলে প্রশ্ন করে বলেন,“কীভাবে একজন ব্যক্তি জলের কল থেকে নিজেকে ঝুলিয়ে রাখতে পারে,মৃত ব্যক্তির উচ্চতা কত এবং কলের উচ্চতা কত?”
গত বছরের ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট এক নির্দেশ দেয়, সেখানে বলা হয়,”দেশের সমস্ত থানা এবং তদন্ত সংস্থাগুলি যেমন সিবিআই, জাতীয় তদন্ত সংস্থা এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সহ সকলকে অবশ্যই নাইট ভিশন এবং অডিও রেকর্ডিং সহ সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।”