এনবিটিভি ডেস্কঃ গত শনিবার রাতে ক্যানিংয়ের সাতমুখী এলাকায় যুব তৃণমূল নেতা মহরম শেখকে গুলি করার অভিযোগ ওঠে দুস্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ওদিন গভীররাতেই কলকাতার পিজি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনার পর ক্যানিং থানায় ১০ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে। পুলিশ ইতিমধ্যেই তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। মূল আসামী রফিকসহ বাকিদের এখনও পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার পর দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন মহরম শেখের স্ত্রী সকিনা সেখ। তিনি জানান, স্বামীকে যারা খুন করেছে, তাদের কঠিন শাস্তি, এমনকি ফাঁসিরও দাবি জানিয়েছেন তিনি। এদিকে, এই ঘটনার পর ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশ রামদাস একই দাবি জানিয়েছেন।
সূত্রের খবর, পুলিশ যে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে। রাখা হবে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতেও।
রবিবার মহরম শেখের মরদেহ নিয়ে আসা হয় ক্যানিং বাস স্ট্যান্ডের তৃণমূল পাটি অফিসে। সেখানেই তাঁকে শ্রদ্ধা জানান ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকাত মোল্লা, ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশ রাম দাস, মাতলা দু’নম্বর পঞ্চায়েত প্রধান উত্তম দাস এবং হাজার হাজার তৃণমূল কর্মীরা। তারপরই মহরম সেখের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় নিজের বাসভবনে। এরপর বাড়ির কাছেই কবরস্থ করা হয় এই যুব নেতার মরদেহ।