এনবিটিভি ডেস্কঃ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নির্দেশ মেনেই চলতে হয় খেলোয়াড়দের। খাদ্য তালিকা কেমন হবে সেটাও মানতে হয়। সম্প্রতি খাদ্য তালিকায় ‘হালাল মাংস’ খাওয়া বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তালিকায় থাকবেনা গরু ও শূকরের মাংস। এই নির্দেশিকার পরেই বিরূপ প্রতিক্রিয়া নেটিজেনদের।
বিসিসিআই আসন্ন আন্তর্জাতিক ইভেন্ট এবং অন্যান্য মূল সিরিজের জন্য খেলোয়াড়দের ফিট এবং সুস্থ রাখতে এই নির্দেশিকা জারি করেছে বলে সুত্রের খবর।
উল্লেখ্য, একটি পশু জবাই করার দুটি উপায় রয়েছে। প্রথমত ‘হালাল‘ পদ্ধতি। হালাল পদ্ধতি মূলত ইসলামিক উপায়ে একটি পশুকে হত্যা করা। হালাল উপায়ে কোন পশুকে হত্যার সময় যেটি খেয়াল রাখা হয় সেটি হল পশু যেন কম কষ্ট পায়। হত্যা করার সময় পশুর জন্য যেটি সবথেকে আরামদায়ক সেই পদ্ধতিতে পশুর গলার একটু নালী কেটে দেওয়া হয়। এবং এখন হালাল পদ্ধতিতেই সবথেকে কম কষ্টে পশু প্রাণ হারায় সেটি বৈজ্ঞানিকভাবেই প্রমাণিত।
আরেকটি পদ্ধতিতে পশুকে ‘ঝাটকা‘ পদ্ধতিতে হত্যা করা হয়। যেখানে আচমকাই জোরে পশুর উপরে কোপ বসিয়ে হত্যা করা হয়।
উল্লেখ্য, হালাল পদ্ধতিতে পশু হত্যা করলে যেটা ঘটে সেটা হল পশুর শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় রক্ত, রক্তের সাথে থাকা বিভিন্ন জীবাণু বেরিয়ে যায়, ফলে পশুর মাংস উন্নত মানের হয়। অপরদিকে আচমকাই হত্যা করলে সেটা হয় না, ফলে পশুর মাংস থেকে ক্ষতির সম্ভাবনাও থাকে।
মুসলিমরা শুধুমাত্র ‘হালাল’ মাংস খায় এবং অন্য কোনো ধরনের মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকে।
স্পোর্টস টক এক সংবাদমাধ্যমের মতে,“ ভারতীয় ক্রিকেট দলটিকে শুকরের মাংস না খাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং কেউ যদি মাংস খেতে চায় তবে তা কেবল হালাল আকারে হওয়া উচিত, খেলোয়াড়রা অন্য কোনও ধরণের মাংস খেতে পারবেন না।”
ভারতীয় ক্রিকেট খেলোয়াড়দের জন্য ‘হালাল মাংস’ বাধ্যতামূলক সংবাদ সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়। নেটিজেনরা ‘হালাল’ মাংসের নির্দেশিকার জন্য বিসিসিআইকে অভিযুক্ত করেছে। এক জন টুইট করে লেখে,“খাবারের কোনও ধর্ম নেই,ক্রিকেটেরও ধর্ম নেই,….তাহলে শুধু হালাল চাপিয়ে দেওয়া হল কেন?”