গুরুগ্রামে নামাজের স্থান বিতর্কের জল গড়াল সুপ্রিম কোর্টে, প্রশাসনের বিরুদ্ধে অবমাননার অভিযোগ

এনবিটিভি ডেস্কঃ  বেশ কয়েক মাস ধরে পাবলিক স্পেসে শুক্রবারের নামাজ পড়া নিয়ে হরিয়ানার গুরুগ্রামে বিতর্ক শুরু হয়েছে।অনেক পূর্ব থেকে শতাধিক জায়গাতে প্রশাসনের নামাজ আদায়ের অনুমতি থাকলেও তা এখন হিন্দুত্ববাদীরা মানতে নারাজ। এই নিয়ে রাজ্যে প্রশাসনের ভুমিকা নিয়ে জল ঘোলা হয়ে আসছে। অবশেষে এই বিতর্কর জল সুপ্রিমকোর্ট পর্যন্ত গড়ালও। 

গুরুগ্রাম নামাজ বিতর্কে হরিয়ানার ডিজিপি পিকে আগরওয়াল এবং রাজ্যের মুখ্য সচিব সঞ্জীব কৌশলের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে অবমাননার আবেদন দায়ের করা হয়েছে বলে জানা যায়।

প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ মহম্মদ আদিব গুরুগ্রাম নামাজ বিতর্ক নিয়ে হরিয়ানা সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অবমাননার আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন। আদিবের অভিযোগ যে, “হরিয়ানা পুলিশ এবং বেসামরিক প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে যারা মুসলিমদের প্রকাশ্যে নামাজ পড়তে বাধা প্রদান করে আসছে।”

আদিব এই মামলায় হরিয়ানার পুলিশের মহাপরিচালক (ডিজিপি) পি কে আগরওয়াল এবং মুখ্য সচিব সঞ্জীব কৌশলের বিরুদ্ধে অবমাননার ব্যবস্থা চেয়েছিলেন।

আদিব একজন প্রাক্তন বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) সদস্য। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, পুলিশ ও প্রশাসন নামাজের বিতর্কে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন যে, প্রশাসন গুরুগ্রামে বারবার নামাজে বাধা দিয়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি করা থেকে “শনাক্তযোগ্য গুন্ডাদের” থামাতে ব্যর্থ হয়েছে।

সম্প্রতি, গুরুগ্রাম একটি আবাসিক কমপ্লেক্সের কাছে একটি খোলা মাঠে নামাজের প্রস্তাবে হিন্দু গোষ্ঠী এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের আপত্তি করতে দেখেছে। খোলা মাঠে নামাজ আদায়কারীরা দাবি করেছিল যে এটি সাপ্তাহিক নামাজের জন্য একটি মনোনীত স্থান ছিল। যারা নামাজ পড়ার বিষয়টিকে নিয়ে করে আসছে তারাই প্রকাশ্য নামাজ পড়া বন্ধ করার জন্য  জোরকদমে আন্দোলন করে আসছে। 

উল্লেখ্য, আদিব তার আবেদনেপত্রে বলেছেন যে,“খোলা জায়গায় শুক্রবারের নামাজের অনুমতি বিশেষভাবে স্থান এবং সুবিধার অভাবের কারণে দেওয়া হয়েছিল।”

আবেদনকারী আদিবের  পিটিশনে বলা হয়েছে যে, গত ৩ ডিসেম্বর হিন্দু গোষ্ঠীগুলি শুক্রবারের নামাজ আদায় করতে বাধাপ্রদান করেছিল। এমনকি হিন্দুত্ববাদীর উচ্ছৃঙ্খল  কাজকর্মের  বিরুদ্ধে কোনও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

 আদিল তার আবেদনে নানান অভিযোগ উল্লেখ করে বলেন যে, “নিরবিচ্ছিন্ন নিষ্ক্রিয়তা, রাষ্ট্রযন্ত্রের উদাসীনতা এবং স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা । প্রশাসনের ব্যর্থতা এই ধরনের ঘটনা রোধ করতে বা সংকটটি ভয়াবহতায় রূপান্তরিত হওয়ার আগেই এর সমাধান খুঁজে বের করতে। এটি দ্বারা স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করা হয়েছিল।”

Latest articles

Related articles