পশ্চিম বর্ধমান, এনবিটিভি ডেস্ক: দুর্গাপুরের জি টি রোড সংলগ্ন এলাকায় আবারও গজিয়ে উঠেছে হোটেলের বেশে বেআইনি মদের রমরমা কারবার। অভিযোগ গতরাত্রে দুর্গাপুরে একটি দৈনিক সংবাদপত্রের কর্মী সৌভিক মিত্র সার্কুলেশন এর কাজে থাকাকালীন ওই এলাকার দাদু পাহাড়ি নামক একটি হোটেলে খাবার খেতে গেলে প্রায় কুড়ি থেকে 25 জন মদ্যপ যুবক তার উপরে চড়াও হয়। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এর সাথে প্রায় তিন ঘন্টা ধরে চলে শারীরিক নির্যাতন। এমনকি ট্রাকের তলায় ফেলে দিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়া হয় তাকে এছাড়াও জোরপূর্বক কেড়ে নেয়া হয় তার মোবাইল ফোনটি।
ঠিক এই মর্মে আজ মহকুমা শাসকের দপ্তরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন সাংবাদিক সৌভিক মিত্র।
আর এখান থেকেই উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন?বারেবারেই অবৈধ হোটেলগুলি নিয়ে অভিযোগ উঠলেও প্রশাসন নির্বিকার কেন? কাদের অঙ্গুলিহেলনে চলছে এই অবৈধ কারবার? প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই বেআইনি হোটেলগুলি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় আসানসোল-দুর্গাপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি।তৎক্ষণাৎ বন্ধ হয় সব বেআইনি কারবার। আবার স্বমহিমায় দাদু পাহাড়ি হোটেল সহ বিভিন্ন হোটেলগুলিতে রমরমিয়ে চালাচ্ছে মদের ব্যবসা সহ বিভিন্ন বেআইনি কার্যকলাপ। বিজেপি নেতা অভিজিৎ দত্তের দাবি, “শাসক দলের ছত্রছায়াতেই চলছে এই অবৈধ ব্যবস্থা। অবৈধ হোটেলগুলোতে লোকাল কাউন্সিলরের মাসোহারা বাধা আছে” বলেও দাবি করেন অভিজিত দত্ত।
অন্যদিকে একই প্রশ্নে ওই ওয়ার্ড অর্থাৎ দুর্গাপুর 26 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দীপেন মাঝির বলেন,
“বিরোধীদের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যে। এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে কাউন্সিলর পদ থেকে রিজাইন দেব।
তবে দীপেন বাবু যাই বলুন না কেন ওয়ার্ডের সর্বেসর্বা হিসাবে এই ব্যবসা বন্ধ করার দায়িত্ব তার উপরেই বর্তায়। তাই প্রশ্ন কাদের ছত্রছায়ায় এই ব্যবসা? তবে কি সর্ষের মধ্যেই ভূত প্রশ্ন আমজনতার?