এনবিটিভি ডেস্কঃ উত্তরপ্রদেশ অ্যান্টি-টেরর স্কোয়াড (এটিএস) এক যুবক ইনামুল হক সহ আরও দুইজনকে দেওবন্দ হোস্টেল গ্রেপ্তার করেছে। শনিবার মিরাটের মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সূত্রে জানা যায়।
ইনামুল হক (২০)-এর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার সঙ্গে যুক্ত থাকার সন্দেহ করা হয়েছে। ইনামুলের বিরুদ্ধে এলাকার যুবকদের উগ্রবাদী করার অভিযোগ রয়েছে। অন্য দু’জন তার সংস্পর্শে ছিল বলে জানা যায়।
এটিএস গজেন্দ্র গোস্বামী বলেছেন যে, “এনামুল হক গত এক বছর থেকে দেওবন্দের একটি মাদ্রাসায় অধ্যয়ন করছিলেন এবং সন্দেহভাজন লস্কর-ই-তৈয়বার সংস্পর্শে ছিলেন।”
এটিএস আরও বলেন, “ইনামুল হক তার সোশ্যাল মিডিয়ার পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে জিহাদ সম্পর্কিত ভিডিও প্রচার করছিলেন। তিনি লস্কর-ই-তৈয়বা-তে যোগদানের জন্য দুই যুবককেও উগ্রপন্থী তৈরি করার জন্য উৎসাহ দিয়ে আসছিল।”
উল্লেখ্য, ভারত তথা সারা বিশ্বের নিকট উত্তরপ্রদেশে সাহারানপুর দেওবান্দ মাদ্রাসা এক জ্ঞানের কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত। বিভিন্ন দেশ থেকে ইসলামি শিক্ষা অর্জনের জন্য এই মাদ্রাসাতে শিক্ষার্থীরা আসেন। এদিকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সাহারানপুর জেলার দেওবন্দে একটি সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড (ATS) কমান্ডো প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রশান্ত কুমারের মতে, “এনামুল মূলত ঝাড়খণ্ডের গিরিডিহ জেলার বাসিন্দা। তার দুই রুমমেট মোহাম্মদ ফুরকান আলী ও নাবিল খানের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়েছে। তারা মুজাফফরনগর থেকে এসেছে। তারা সবাই দেওবন্দের হোস্টেলে থাকতেন।”
সেনা সূত্রে বলা হয়েছে যে, “এনামুল হকের সন্ত্রাসবাদের প্রতি এবং জইশ-ই-মোহাম্মদ মতাদর্শের প্রতি প্রবল ঝোঁক ছিল। সে একটি ‘জইশ-ই-মোহাম্মদ আল জিহাদ’- নামের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের এডমিন ছিল। সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আরও ২৩৩ জন যুক্ত ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, দিন দিন হিন্দুত্ববাদীদের প্রভাব বেড়েই চলেছে। একজনের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের এডমিনের উপর ভিত্তি করে কিভাবে গ্রেফতার করা যেতে পারে। সরকারের পিছনে এক অন্য উদ্দেশ্য কাজ করছে বলে মনে করেন তারা।