
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির মধ্যে সাম্প্রতিক বৈঠকটি উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডার মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনার সঞ্চার করেছে। ওভাল অফিসে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দুই নেতা ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধান নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে মতবিরোধে জড়িয়ে পড়েন। ট্রাম্প জ়েলেনস্কিকে রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতার পরামর্শ দেন, যা জ়েলেনস্কি প্রত্যাখ্যান করেন। ট্রাম্পের অভিযোগ, জ়েলেনস্কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি নিচ্ছেন এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন নিয়ে খেলছেন। এই মন্তব্যে জ়েলেনস্কি ক্ষুব্ধ হয়ে বৈঠক ত্যাগ করেন।
এই ঘটনার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কাজা কালাস মন্তব্য করেন যে, ‘মুক্ত বিশ্ব’ গঠনের জন্য নতুন নেতার প্রয়োজন। তিনি বলেন, ইউক্রেন মানেই ইউরোপ, এবং ইউক্রেনকে সমর্থন করা ইউরোপের দায়িত্ব।
এই প্রেক্ষাপটে, ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেনের প্রতি তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করতে লন্ডনে জরুরি সম্মেলনে মিলিত হচ্ছেন। সম্মেলনের মূল লক্ষ্য নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করা এবং ইউক্রেনকে সমর্থন নিশ্চিত করা।

এদিকে, ইউক্রেন যুদ্ধের তিন বছর পূর্তিতে ইউরোপীয় নেতারা কিয়েভে পৌঁছেছেন। তাদের এই সফর ইউক্রেনের প্রতি ইউরোপের অবিচল সমর্থনের প্রতীক।
এই পরিস্থিতিতে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা আগামী ৬ মার্চ একটি বিশেষ সম্মেলনে মিলিত হবেন, যেখানে ইউক্রেনকে সমর্থন এবং ইউরোপের নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা হবে। এই সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জ়েলেনস্কিকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, রাশিয়া জানিয়েছে যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং প্রেসিডেন্ট পুতিনের মধ্যে শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতি চলছে। এই সম্মেলনে ইউক্রেন যুদ্ধসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
এই সমস্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছেন, যা ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।