মায়ানমারে চার দফা ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ভারত, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড। প্রথম ভূমিকম্পটি ২৮ মার্চ রাতে, রিখটার স্কেলে ৭.২ তীব্রতার ছিল। পরবর্তী কম্পনগুলোর তীব্রতা রিখটার স্কেলে ৭.০, ৫.০ ও ৪.৯ ছিল। এর প্রভাব পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের একাধিক রাজ্যে অনুভূত হয়েছে।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তথ্য অনুযায়ী, মায়ানমারে মোট চারবার ভূমিকম্প হয়েছে। প্রথম ভূমিকম্পটি ২৮ মার্চ রাত ১১:৫০ মিনিটে ঘটে, যার তীব্রতা রিখটার স্কেলে ৭.২ মাপা হয়। এর কেন্দ্রস্থল ছিল মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরে। এরপর, দ্বিতীয় ভূমিকম্পটি ১২ মিনিট পর, রাত ১২:০২ মিনিটে হয়, যার তীব্রতা ছিল ৭.০।
পরবর্তী ভূমিকম্প দুটি যথাক্রমে রাত ১২:৫৭ ও ১:০৭ মিনিটে অনুভূত হয়। তৃতীয়টির তীব্রতা ছিল ৫.০ এবং চতুর্থটির ৪.৯, যা মাটির ৩০ কিলোমিটার গভীরে উৎপন্ন হয়। একাধিক কম্পনের প্রভাব বাংলাদেশ, ভারত ও থাইল্যান্ডেও অনুভূত হয়। ভারতে, মেঘালয়ের পূর্ব গারো পাহাড়ে রাত ১:০৩ মিনিটে ৪.০ মাত্রার ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়।
ভূমিকম্পে ব্যাংককে একটি নির্মীয়মান বহুতল ভেঙে পড়ে, যেখানে ৪৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পরিস্থিতি বিবেচনায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংককে ৩০ তলা নির্মীয়মান ভবন ধসে ৪৩ জন নিখোঁজ, ৮০ জনের বেশি শ্রমিকের খোঁজ মেলেনি। মান্দালয়ে মসজিদ ধসে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ব্যাংককে ট্রেন ও বিমান পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয় এবং ‘জরুরি অবস্থা’ জারি করা হয়েছে।
এছাড়া, মায়ানমারের মান্দালয়ে ভূমিকম্পের ফলে একটি মসজিদ ধসে পড়ে, যেখানে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ব্যাংককে ধসে পড়া ৩০ তলা ভবনের ধ্বংসস্তূপে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মোট ৪০০ জন শ্রমিক সেখানে কাজ করছিলেন, যাদের মধ্যে ৮০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধারকার্য এখনোও চলছে।
মায়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত বহু মানুষ, রিখটার স্কেলে তীব্রতার পরিমাপ ৭.২। কেঁপে উঠলো ভারতও
Popular Categories