
রাস্তার নিম্নমানের কাজ ও প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়লেন ইসলামপুরের সাধারণ মানুষ। সোমবার সকাল থেকেই এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, যখন স্থানীয় গ্রামবাসীরা রাস্তার নির্মাণস্থলে জড়ো হয়ে সরব প্রতিবাদে অংশ নেন। ঠিকাদার সংস্থা এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ওঠে একাধিক গুরুতর অভিযোগ।

স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য অনুযায়ী, রাস্তার নির্মাণকাজে কোনো নির্দিষ্ট সিডিউল বা পরিকল্পনা অনুসরণ করা হচ্ছে না। অনেক সময় দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থেকেছে, আবার হঠাৎ করেই কাজ শুরু হলেও তা চলছে বেপরোয়া ও নিয়মবহির্ভূত উপায়ে। অভিযোগ উঠেছে, রাস্তার ঢালাইয়ে যথাযথ পরিমাণে সিমেন্ট, বালি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে না। ফলে রাস্তার গঠন ও স্থায়িত্ব নিয়ে এখনই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
একজন বাসিন্দা বলেন, “এতদিন ধরে আমরা ভালো রাস্তার অপেক্ষায় আছি। কিন্তু এখন যা কাজ হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে আরও দু’মাসের মধ্যেই রাস্তা ভেঙে যাবে। এটা সোজাসুজি টাকা লুট।” অন্য একজন যোগ করেন, “যে হারে দুর্নীতি হচ্ছে, তাতে সাধারণ মানুষের টাকা নষ্ট হওয়া ছাড়া আর কিছুই হচ্ছে না।”
বিক্ষোভের ফলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং নিরাপত্তার কারণে কর্তৃপক্ষ আপাতত রাস্তার কাজ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এলাকাবাসীর দাবি, কাজ যথাযথভাবে ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় পরিচালিত না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন।

প্রসঙ্গত, ইসলামপুর মারকাজ থেকে চাঁদপুর এবং চাঁদপুর থেকে দোগাছি পর্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ কংক্রিট রাস্তা নির্মাণের কাজ কিছুদিন আগেই শুরু হয়েছিল। এই রাস্তা গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কাজের শুরুর পর থেকেই গাফিলতি ও দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করে।
গ্রামবাসীরা চাইছেন প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ তথ্য জনসমক্ষে আনা হোক এবং ঠিকাদার সংস্থার কার্যকলাপের ওপর নজরদারি বাড়ানো হোক। তারা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন, অবিলম্বে স্বচ্ছ তদন্ত শুরু করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

এদিকে এখনো পর্যন্ত ঠিকাদার বা সংশ্লিষ্ট কোনো সরকারি আধিকারিক এই অভিযোগের বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে এলাকাবাসীর ক্ষোভ যেভাবে বাড়ছে, তাতে এই ইস্যু আরও বড় আন্দোলনের রূপ নিতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।