
২০০৯ সালের ২৫ মে ‘আয়লা’ ঝড় সুন্দরবনে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি করেছিল। এরপর ফণী, আমফান ও ইয়াস—মে মাসে একের পর এক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গের ওপর আঘাত করেছে। এবছরও সেই উদ্বেগ ফিরে এসেছে। আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুসারে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অচিরেই একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে, যা পরে ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সময় ঝড় তৈরির জন্য সবচেয়ে অনুকূল। পূর্বা দিক থেকে আসা আর্দ্র বাতাস নিম্নচাপকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। তাই ১৬ থেকে ২২ মে’র মধ্যে যদি কোনো নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়, তবে তার থেকে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়া অপ্রত্যাশিত নয়।

আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, পরবর্তী ৩-৪ দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, যা তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি কমিয়ে আনতে পারে।
১৩ মে শহরে হালকা বৃষ্টি এবং বাতাস বইতে পারে, ১৪ মে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ১৫ ও ১৬ মে বজ্রপাতসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
সব মিলিয়ে, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এই মে মাসেও বাংলার মানুষের মধ্যে উদ্বেগ রয়ে গেছে।