বুড়িগঙ্গায় মনিং বার্ড নামক লঞ্চডুবির ঘটনায় আকস্মিক ভাবে ১৩ ঘণ্টা পর একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল।এটি ছিলো সম্পূর্ণ সাজানো নাটক। এ তথ্যের সত্যতা নিয়ে গত শুক্রবার দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে তাৎক্ষণিক ভাবে শুক্রবার দুপুরে মিটফোর্ড হাসপাতালের মেডিসিন ভবন ২ থেকে সেই সুমন ব্যাপারী পালিয়ে গেছে। শুক্রবার বিকালে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সাথে কথা বললে তারা রোগীর পরিপূর্ণ সুস্থ হওয়ায় দুপুরে সুমনের নাম কেটে দিয়ে তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ করেছেন।
তবে মিডফোর্ড হাসপাতালের একধিক সুত্রের অভিযোগ, পত্রিকায় নিউজ ছাপা হওয়ার পর থেকে সাদা পোষাকে অনেক গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা মিটফোর্ড হাসপাতালে আনাগোনা দেখে ভয়ে কৌশলে সুমন ও তার স্বজনদের নিয়ে পালিয়েছে।
অন্যদিকে, বিআইডব্লিউটিএ- এর যুগ্ন পরিচারক একেএম আরিফ উদ্দিন ও সদরঘাট নৌ থানার ওসির বিরুদ্ধে ১৩ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধারটি নাটক সাজানোর অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয় শুক্রবার নিউজের প্রতিবেদকে ফোনের মাধ্যমে আরিফ উদ্দিন ও নৌ পুলিশের ওসি রেজাউল করিম জানান, সুমনের উদ্ধার হওয়ার পেছনে তাদের কোন ভুমিকা ছিলো না। এব্যাপার তারা কিছুই জানেনা বলে দাবি করেছেন।
টার্মিনালের হকার সাংবাদিকদের তথ্য দিয়েছে তা সঠিক নয়। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতামত, ১৩ ঘণ্টা পর পানির নিচে থেকে পরিপূর্ণ সুস্থ ও স্বাভাবিক উদ্ধার হওয়ার বিষয়টি ছিলো সাজানো একটি নাটক। আর সে কারনেই সুমন হাসপাতাল থেকে পালিয়েছে। সুমনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে আসল রহস্য উৎঘাটিত হবে। এমন হাজারো সুমন কে দিয়ে জীবিত উদ্ধারের নাটক সাজানো যেন আজকের বাংলাদেশের চিরচেনা রূপ হয়ে যাচ্ছে।