এনবিটি: রাজ্যজুড়ে যখন করোনা সংক্রমণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তখন মুখ্যমন্ত্রী একসঙ্গে অনেকগুলো মানুষ কে থাকতে নিষেধ করছেন। কিন্তু দিদির গুণধর এমএলএ শওকত মোল্লা সেসব কোথায় কেয়ার করে না। হাজার হাজার লোক নিয়ে চলেছে সমাগম। মুখে কোন মাক্স নেই। নেই কোনো সামাজিক দূরত্ব। শওকত মোল্লা নিজেই মুখে মাক্স পরেন না।
তাহলে কি দিদির এমএলএ এমপি দের জন্য রাজ্যের কোন নিয়ম শৃঙ্খলা থাকবে না? নাকি যারাই নিয়ম করবে তারাই ভঙ্গ করবে। বাংলায় প্রবাদ বাক্যে একটি কথা আছে, ‘রক্ষক-ই ভক্ষক’, তা প্রমাণ করে দিল তৃণমূলের বিধায়ক সওকাত মোল্লা।। শওকত মোল্লা বারবার বলেন, আপনারা গ্যাদারিং করবেন না, মাক্স পড়বেন। অথচ নিজেই মাক্স পারেন না। নিজেই হাজার হাজার মানুষ নিয়ে সভা করছেন।। যে নিজে নিয়ম মানে না সে জনগণকে কিভাবে নিয়ম মানার কথা বলে? তাহলে রাজ্যে করোনা সংক্রমনের জন্য শওকত মোল্লা কি দায়ী নয়??
সম্প্রতি আব্বাস সিদ্দিকী বনাম শওকত মোল্লার লড়াইয়ে উত্তপ্ত দক্ষিণ 24 পরগনার রাজনীতি। আর সেই উত্তপ্ত রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় শঙ্কিত সওকাত জনসমাগম করে কি রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি করতে চাইছেন? ভাইজান ভক্তদের অভিযোগ হাজার হাজার লোক জড়ো করে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি করছে এই শওকত মোল্লার মত কিছু তৃণমূলের নেতারা। অভিযোগ তা অনেকটাই সত্য ।
গত মঙ্গলবার ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে বোদরা অঞ্চল এ কাজদিয়া ফুটবল ময়দানে একটি সভা করে সওকাত মোল্লা।সেখানে কয়েক হাজার মানুষের জামায়াত হয়। আর তা নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক।যে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই মানুষকে বারবার সচেতন করছেন আপনারা এক জায়গায় অনেকজন জড়ো হবেন না সেই মুখ্যমন্ত্রীর আদরের এমএলএ হাজার হাজার মানুষকে জড়ো করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করছে, আর সেখানে মুখ্যমন্ত্রী নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন।
শওকত মোল্লা ঘোষণা করেছেন, আগামী ১৬-ই আগস্ট আবারো হাজার হাজার জনতা এক জায়গায় করে মিটিং করবেন!
এতে কি করোনা বৃদ্ধি পাবে না?? এই মিটিং থেকে কি করোনা সংক্রমণ ছড়াবে না? এর গ্যারান্টি দিতে পারবে শওকত মোল্লারা?