শ্রীলঙ্কার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহ ওই দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, দেশের আভ্যন্তরীণ অস্থিরতা কমাতে এবং সে দেশের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলা করতে ইচ্ছুক প্রশাসন ,এমনটাই একটা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশ করেছে তিনি।উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কায় চলমান অর্থনৈতিক সংকট আরও বাড়ার পথে।
রাজধানী কলম্বোর সুপার মার্কেটগুলোতে খাবারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক সংকটে নিমজ্জিত শ্রীলঙ্কার জনগণ দিনের পর দিন পেট্রোল, দুধ, রান্নার গ্যাস, কেরোসিনসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের জন্য লাইনে দাঁড়াচ্ছেন।
সেই মুহূর্তে প্রশাসনের তরফ থেকে বিশ্বের নানান প্রান্ত থেকে সাহায্যের আর্জিও জারি করেছেন তারা।এক সপ্তাহ আগে রাজধানী কলম্বোর রাস্তায় নামে হাজার হাজার সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারী। এমনকি দখল করে প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও অফিস। তারপর থেকে অবস্থা বুঝে দেশ থেকে বেরিয়ে যান তিনি। প্রথমে মালদ্বীপ এবং তারপর সিঙ্গাপুরে পালিয়ে যান।
শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে গত শনিবার নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য বৈঠক করে। সঙ্কট-বিধ্বস্ত দেশটিকে কিছুটা স্বস্তি দিতে জ্বালানীর সাহায্য পৌঁছেছে।গোতাবায়া রাজাপক্ষের ঘনিষ্ট বন্ধু বিক্রমাসিংহে পূর্ণকালীন প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে অন্যতম এক জন প্রতিযোগী।
কিন্তু দেশটির বিক্ষোভকারীরা তাকেও ক্ষমতায় দেখতে চান না, তারা কোনো বিশ্বস্ত কাউকে ক্ষমতায় দেখতে চান।যে তাদের কথা বুঝবে,আম জনতার সরকার হবে। এমন পরিস্থিতিতে তিনি নির্বাচিত হলে দেশটিতে আরও অস্থিরতার দেখা দেবে এমনটাই আশঙ্কা করছে ওয়াকিবহাল মহল।