প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় বিজেপির পারতো অফিস ভাগছুর থেকে অগ্নি সংযোগ, রাস্তা অবরোধ থেকে লুটতরাজ সব কিছু এখন বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অংশ রাজ্যের প্রতিটি জেলায় প্রতিটি ব্লকে। সেই প্রার্থী পছন্দ না হওয়ার বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার চলছে বাংলার প্রতিটা জেলার বিজেপি কর্মীরা। বিক্ষোভ দেখিয়েছিল হেস্টিংসে বিজেপি–র প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে। এবার বিক্ষোভের আঁচ জলপাইগুড়িতে। আরও একধাপ এগিয়ে বিজেপি–র জলপাইগুড়ি জেলা কার্যালয়ে আগুন ধরাল সমর্থকরা।
অভিযোগ, কোটি টাকার বিনিময়ে জলপাইগুড়ি বিধানসভা আসন তৃনমূলের হাতে তুলে দিয়েছেন জেলা সভাপতি। জলপাইগুড়ি সদর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে আইনজীবী সৌজিত সিনহাকে। প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম ঘোষণা হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি নেতা–কর্মীরা। বিজেপি কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে আগুন ধরান তারা। এই নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে শহরের ডিবিসি রোড এবং সংলগ্ন এলাকা।
বিজেপি নেতা কানন রায় অভিযোগ করে বলেন, ‘আদি বিজেপি নেতা কর্মীদের প্রার্থী না করে নতুন একজনকে প্রার্থী করা হয়েছে। এমনটা কিছুতেই মেনে নেব না। আমরা চাইছি আমাদের পুরানো নেতা দীপেন প্রামাণিককে জলপাইগুড়ি সদর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হোক। তা না হলে লাগাতার আন্দোলন চলবে।’ ঘটনায় বিজেপি কিসান মোর্চার প্রাক্তন জেলা সভাপতি নবেন্দু সরকার অভিযোগ করে বলেন, জলপাইগুড়ি শহরে নতুন একটি সিমেন্ট কারখানা থেকে কোটি টাকা নিয়ে এই আসন তৃণমূলের হাতে বিক্রি করে দিলেন বিজেপি–র জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী।
বিজেপি মহিলা মোর্চার জেলা সভাপতি টিনা গাঙ্গুলি বলেন, ‘সৌজিত সিংহ প্রার্থী খারাপ না। আমাদের দাবি, দীপেন প্রামাণিককে জেলার যে কোনও একটি আসনে প্রার্থী করা হোক।’
জলপাইগুড়ির জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী অবশ্য মুখ খোলেননি। তাঁর সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন, ‘এই ব্যাপারে আমি কোনও প্রতিক্রিয়া দেব না। যা বলার রাজ্য নেতৃত্ব বলবে।’
পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে উপস্থিত ডি এস পি সমীর পাল। আগুন নেভাতে আসে দমকলের একটি ইঞ্জিন। যদিও দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসার আগেই স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। বিকেলের পর রাতেও আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ চলছে বিজেপি–র জলপাইগুড়ি জেলা কার্যালয়ে।