কাঁথি থেকে শিশির-শুভেন্দুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য অখিল গিরির

দেশ সহ রাজ্যে পেট্রোল-ডিজেল লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির কারণে নাজেহাল হচ্ছে সাধারণ মানুষ। কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে ১০০ গণ্ডি পেরিয়েছে পেট্রোলের দাম। তাই নিয়েই লাগাতার বিক্ষোভে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পথে নেমেছে তৃণমূল। কাঁথি শহরে পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হয়ে রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরি।

সেখান থেকেই নাম না করে কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন। কাঁথি শহরে চৌরঙ্গী মোড়ে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি করেন শহর তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে তৃণমূল নেতারা কেন্দ্র সরকারের অস্বাভাবিক পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভ করেন। মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি বলেছেন বিধানসভায় তৃণমূলের কেউ বাবা তুলে কথা বলেননি। এমনকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেনি কোনও খারপ কথা।

বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে লাগাতার আক্রমণ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী ও শিশির অধিকারীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরি। কাঁথির সভা থেকে রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী তোপ দেগে বলেছেন, ” বিধানসভায় তৃণমূলের কেউ বাবা তুলে কথা বলেননি। উনি (শিশির অধিকারী) গায়ে পড়ে ঝগড়া করছেন। প্রবীণ মানুষ হতাশায় ভুগছেন। অনেকদিন ক্ষমতা ভোগ করেছেন। ৯ বছর বাদে ৩১ বছর তিনি পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদে ও রাজ্য সরকারের আশীর্বাদে কেউ কেউ চেয়ারম্যান আছেন।”

নাম না করে শুভেন্দুর নাম না করে ওই পদ থেকে সরে যাওয়ার কথা বলেছেন অখিল গিরি। একই সঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “আইনটা আমরাও বুঝি। হাইকোর্টে গেলে হবে না, সুপ্রিম কোর্ট থেকে উকিল আনলেও বাঁচতে পারবেন না। আমারা সব ব্যপারটা জানি। দয়া করে বলছি যদি ভালো চান তবে সরে যান। পদত্যাগ করুন চেয়ারম্যানের পদ থেকে। মানবিক মুখ্যমন্ত্রী বলে এখনও তিনি সহ্য করছেন। দয়া করে সাংসদকে বলব পদত্যাগ করে দিন।”

পাশাপাশি শুভেন্দুর নাম না করে অখিল গিরির বিস্ফারক মন্তব্য, তাঁকে আর তাঁর দল তৃণমূলকে হারাতে কোনও এক দল ছাড়াও জন্য কেউ ৭০ লক্ষ টাকা খরচ করেছে। শুধু মাত্র তাঁকে হারানোর জন্য ক্লাবগুলিকে ডেকে ডেকে টাকা দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে ১৮ হাজার, ১৬ হাজার, ১৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র তাঁকে হারানোর জন্য।

Latest articles

Related articles