রামমন্দিরের পর বিশাল দুর্নীতি সঙ্ঘ পরিবারের ‘হিন্দু ব্যাঙ্কে’

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

IMG_20210711_161207

কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠলো সঙ্ঘ পরিবারের ‘হিন্দু ব্যাংক’-এ। চেরুপুল্লাসেরিতে অবস্থিত এই হিন্দুস্তান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা হিন্দু ব্যাংক। কিছুদিন আগেই ব্যাংকের গ্রাহকরা নিজেদের জমানো টাকা ফেরানোর দাবি করলে, বাধ্য হয়ে ব্যাংকটি নিজেদের শাখা বন্ধ করে দেয়।

 

দেশাভিমানী-তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই ব্যাংক চেয়ারম্যান সুরেশ কৃষ্ণা, যিনি আরএসএস-এর সক্রিয় কর্মী ও সঙ্ঘ পরিবারের সোশ্যাল মিডিয়ার ইনচার্জ, তাঁর বিরুদ্ধে ১৫ জন গ্রাহক পুলিশি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ব্যাংকে তাঁদের ৯৭ লাখ টাকার আমানত রয়েছে। তাঃদের অভিযোগ, ব্যাংকের চেয়ারম্যান ব্যাংকের জন্য গাড়ি কিনছেন কিন্তু নিজের নামে রেজিস্ট্রেশন করেছে তা।

 

ব্যাংকের ডিরেক্টররাও চেয়ারম্যান সুরেশের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও এর সবটাই লোকের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য বলে অভিযোগ গ্রাহকদের।

 

গ্রাহকদের অভিযোগ, বিজেপি নেতারা তাঁদের বোঝাতে চাইছেন চেয়ারম্যানই এই প্রতারণা করেছেন। কিন্তু আসলে এর পুরো খতিয়ান রয়েছে আরএসএস-বিজেপি নেতৃত্বের কাছে। পুলিশ এখন জানার চেষ্টা করছে, ব্যাংকের গ্রাহকদের পুরো টাকা আসলে গেল কোথায়? অনেক গ্রাহককে ১৬ শতাংশ সুদ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা জমা করানো হয়েছে। প্রতারিত গ্রাহকদের মধ্যে বিজেপি কর্মীও রয়েছেন। যাঁরা স্ত্রীর গয়না বন্ধক রেখে ‘হিন্দু ব্যাংক’-এ সেই টাকা গচ্ছিত রেখেছিলেন। ২৫০০ টাকা রেকারিং ডিপোজিট স্কিমেও টাকা বহু গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছিল বলে খবর।

 

তাঁদের আরো অভিযোগ, বেশ কয়েকজনকে চাকরি দেওয়ার নাম করেও বিজেপি কর্মীরা টাকা তুলেছিলেন। ব্যাংকের সব ডিরেক্টররাই আরএসএস-বিজেপি কর্মী। চালু হওয়ার এক বছরের মধ্যেই কোটি কোটি টাকা আমানত তুলেছিল ব্যাংকটি। এরই মধ্যে বেশ কিছু গ্রাহকের মনে সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা নিজেদের আমানত তুলে নেওয়ার কথা ব্যাংককে জানাতেই ব্যাংকটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

 

ব্যাংকের বিল্ডিংটির মালিক জানিয়েছেন বেশ কিছু মাসের ভাড়াও বকেয়া রয়েছে। সম্প্রতি বেশ কিছু বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে হাওয়ালা মামলার অভিযোগ উঠেছে। আর ঠিক তখনই এই বড়সড় ব্যাংক প্রতারণার বিষয়টি উঠে এল।

 

সূত্র : পিপলস রিপোর্ট

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর