নামায পড়া যাবে না ঐতিহাসিক চারমিনার মসজিদে! বলল ASI

নিউজ ডেস্ক : সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ ভারতবর্ষে ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটি আজ উপহাসের পাত্র। যখন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় একের পর এক হিন্দু মন্দির গুলো সাজিয়ে গুছিয়ে তোলা হচ্ছে, বিচারব্যবস্থার মদতে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে সেখানে সরকারি সাহায্যেই গড়ে তোলা হচ্ছে রাম মন্দির ঠিক সেই সময়ই ভারতের ইতিহাস ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িত একের পর এক মুসলিম স্থাপত্যগুলির পরিচিতি বদলে সেখানে মুসলিমদের উপাসনার অধিকার কেড়ে নিচ্ছে ভারতের ফ্যাসিবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তি। তারই ধারাবাহিকতায় এবার হায়দ্রাবাদের ঐতিহাসিক চারমিনার মসজিদে এখন নামাজ পড়া বন্ধ। বার বার অবেদন করেও এখনো মসজিদটি খুলতে দেয়নি সরকার। মসজিদে পুনরায় নামাজ পড়ার অনুমতি চেয়ে হায়দ্রাবাদের আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার দপ্তরে আবেদন জানায় স্থানীয় কংগ্রেস নেতা মোহাম্মদ এরশাদ খান। সেখান থেকে জানানো হয় তাদের মসজিদটি খোলার ব্যাপারে অনুমতি দেওয়ার কোনো অধিকার নেই। দপ্তরটি থেকে মুসলিমদেরকে বলা হয় দিল্লিতে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার সদর দপ্তরে এই ব্যাপারে যোগাযোগ করার জন্য।

ঐতিহাসিক কুলি কুতুব শাহ মসজিদটি হায়দ্রবাদের কুতুবশাহী সাম্রাজ্যের বাদশাহ কুলি কুতুব শাহ ১৫৯০-৯১ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মসজিদটির দ্বিতীয় তলটি মাদ্রাসা হিসেবে ব্যবহৃত হতো প্রতিষ্ঠার পর থেকে। আর তৃতীয় তলের পশ্চিমদিকের সুন্দরভাবে সাজানো অংশটি মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। কিন্তু এখন সেখানে আর নামায পড়তে পারে না মুসলিমরা। বহুবার দরবার করেও এব্যাপারে নিজেদের প্রাপ্য অধিকার ফিরে পায়নি মুসলিমরা। হায়দ্রাবাদের মুসলিম সংগঠনগুলো কেন্দ্রীয় ওয়াকফ বোর্ডকে এই ব্যাপারে প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ, দিল্লির সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টিতে তাদের উদ্বেগ নিরসন করে মুসলিমদের ঐতিহাসিক অধিকার যাতে তারা ফিরে তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

Latest articles

Related articles