দিল্লী দাঙ্গার নির্যাতিতদের হয়ে লড়াই করা আইনজীবী মাহমুদ প্রচার অফিসে আবার জানা দিল দিল্লী পুলিশ

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

mcms

নিউজ ডেস্ক : ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে উত্তর পূর্ব দিল্লিতে সংগঠিত পূর্ব পরিকল্পিত মুসলিম নিধনে সরাসরি জড়িত ছিলেন বিজেপির প্রভাবশালী নেতা এবং বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যা ইতিমধ্যেই বেশ কিছু সত্য সন্ধানী রিপোর্টে উঠে এসেছে। কিন্তু শাহের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশ এই দাঙ্গায় মুসলিমদের বিরুদ্ধে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের পূর্ণাংগ সহযোগিতা করেছিল এবং মুসলিম হত্যাযজ্ঞের পর সমস্ত তথ্য গোপন করে মুসলিম ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধেই মামলা করে ওই তথাকথিত দাঙ্গা বাধানোর জন্য। কিন্তু মিথ্যা সাক্ষী জোগাড় করা, সত্য গোপন করা, তদন্তে সুস্পষ্ট পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে আদালতে বার বার মুখ পুড়েছে শাহ এবং তার অধিনস্ত পুলিশের। তবুও থেমে থাকেনি দিল্লি পুলিশের অপচেষ্টা। নির্যাতিত মুসলিমদের পক্ষে যে আইনজীবী দাঁড়াতে গিয়েছে আদালতে, তাদের হেনস্থা করে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে এসেছে তারা। এবার দিল্লি মুসলিম নিধনে দিল্লি পুলিশ এবং অমিত শাহের জড়িত থাকার বিষয়টি নিয়ে সত্য সন্ধানের অভিযানে নামা বিখ্যাত আইনজীবী মাহমুদ প্রচার বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশ শুরু করেছে তাদের ঘৃণ্য হেনস্থার খেলা।

দিল্লি পুলিশ এর স্পেশাল সেল তার বাড়িতে আগে থেকে কোনো নোটিশ না দিয়ে হানা দেয় গত ২৪ শে ডিসেম্বর। আবার গতকাল দিল্লি পুলিশ হানা দেয় দিল্লিতে নিজামউদ্দিন পশ্চিমের অফিসে। স্ক্রল এর রিপোর্ট অনুসারে, পুলিশ আগে থেকে জানত যে ওই সময় একটি তদন্তের ব্যাপারে তিনি এবং তার সহকারীরা কেউ অফিসে থাকবেন না। সেই সুযোগেই দিল্লি পুলিশ তার অফিসে হানা দেয় এবং তার কম্পিউটার থেকে ওই মামলায় তার জড়ো করা সব প্রমাণ এবং রেকর্ড নিয়ে যায় বলে অভিযোগ যা সম্পূর্ণ আইন বিরোধী। দিল্লি পুলিশের এই আচরনের তীব্র সমালোচনা করেছেন দিল্লি হাইকোর্টের বহু আইনজীবী এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। এমনকি বোম্বে হাইকোর্টের এক প্রাক্তন বিচারক এর তীব্র নিন্দা করেছেন। তবে এই নিন্দায় সঙ্গীত কারণেই দিল্লিতে মুসলিম নিধনের প্রমাণ লোপাটে কর্মরত দিল্লি পুলিশের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় কোনো প্রভাব পড়বে না বলেই মত প্রচার ঘনিষ্ট মহলের।

উল্লেখ্য গত বছর সংগঠিত ওই মুসলিম নিধন যজ্ঞে সরকারি হিসেবে নিহত হয় ৪০ জন মুসলিম, নিখোঁজ হয় অসংখ্য যদিও বেসরকারি হিসেবে নিহতের সংখ্যা শতাধিক। ভাঙচুর করা হয় হাজার হাজার মুসলিমদের বাড়িঘর। গৃহচ্চুত এবং গৃহহীন হয় বহু মুসলিম। ভাঙচুর করা এবং জ্বালিয়ে হয় মুসলিমদের অসংখ্য দোকান, গাড়ি, মসজিদ এবং মাদাসা।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর