এনভিটিভি, ওয়েব ডেস্ক:পবিত্র হজ শেষ করে মদিনায় যাচ্ছেন লাখ লাখ হাজি। তাদের অন্তরে যেমন রয়েছে হজ সম্পন্ন করার আনন্দ ও উচ্ছ্বাস; তেমনি তাদের অন্তরে রয়েছে বেদনার ছাপ। বিদায়ের মুহূর্ত ঘনিয়ে আসায় অশ্রুসিক্ত তাদের দুচোখ। গত বুধবার থেকে আজ সকাল পর্যন্ত মিনায় অবস্থান করে হাজিরা জামারায় পাথর নিক্ষেপ করেছেন। আজ সবাই মিনা প্রান্তর ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। তাওয়াফুল বিদা বা বিদায়ি তাওয়াফ শেষ করে তারা নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যাবেন। গত সপ্তাহ খানেক ধরে মিনা প্রান্তর ছিল তাবুর নগরী। ধবধবে সাদা তাবুতে অবস্থান করেছেন ১৮ লাখের বেশি হাজি। হাজিদের জন্য সেখানে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আজ থেকে মিনার পথ-ঘাট ও অলিগলি আগামী এক বছরের জন্য জনমানবশূন্য হয়ে পড়বে। এ বছরের হজ মৌসুমের স্বাস্থ্য বিষয়ক পরিকল্পনা সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সৌদি আরবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহাদ আল-জালাজেল। এ সময় তিনি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বা কোনো ধরনের মহামারির প্রাদুর্ভাব ছাড়াই তা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান। তিনি জানান, এ বছর ৩৫৪টির বেশি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে চার লাখের বেশি হাজিকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়েছে। এখানে ৩৬ হাজারের বেশি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ হাজিদের জন্য কাজ করেছেন। তাদের সহযোগিতায় ছিলেন সাত হাজার ছয় স্বেচ্ছাসেবক। প্রতি বছর ৮ জিলহজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে হজের কার্যক্রম শুরু হয়। সেদিন তারা ফজর নামাজ পড়ে সবাই মক্কা থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে মিনায় চলে যায়। সেখানে তারা নামাজ, তিলাওয়াত ও অন্যান্য ইবাদতে পুরো দিন ও রাত কাটান। এরপর সেখান থেকে হাজিরা আরাফাতের ময়দানে যান। সেখানে জোহর ও আসর নামাজ একসঙ্গে পড়েন। এরপর সূর্যাস্ত পর্যন্ত দোয়া-মোনাজাতে নিমগ্ন থাকেন। সূর্যাস্তের পর সবাই মুজদালিফার উদ্দেশে যান। সেখানে একসঙ্গে মাগরিব ও এশার নামাজ পড়ে রাত্রিযাপন করেন এবং তিন জামারায় পাথর নিক্ষেপের জন্য তাঁরা পাথর সংগ্রহ করেন। পরদিন মিনায় গিয়ে বড় জামারায় পাথর নিক্ষেপ করেন। এরপর কোরবানি করে মাথার চুল ছোট বা মুণ্ডন করেন। অতঃপর ইহরামের কাপড় বদলে স্বাভাবিক পোশাক পরে মক্কায় গিয়ে পবিত্র কাবা শরিফ সাতবার তাওয়াফ করেন। কাবার সামনের দুই পাহাড় সাফা ও মারওয়ায় সায়ি (সাতবার দৌড়ানো) করেন। সেখান থেকে তাঁরা আবার মিনায় যান। মিনা থেকে তাঁরা তিন দিন ২১টি করে ৬৩টিসহ মোট ৭০টি পাথর তিন জামারায় (বড়, মধ্যম, ছোট) নিক্ষেপ করেন। এরপর মক্কায় বিদায়ি তাওয়াফ করে হজের সব কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন
