ভিখারি ৮০০০ কোটির বিমানে আর আহত সেনাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ট্রাক্টরে!

দেশের সাধারন করদাতাদের অর্থের রাজনৈতিক করতে সিদ্ধহস্ত বিজেপি নেতা প্রধানমন্ত্রী মোদী। রাজনৈতিক প্রচার অভিযান হোক বা নিজের দলের নির্বাচনী প্রচারাভিযানে যোগদান সব ক্ষেত্রে ব্যবহার করেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকে দেওয়া পরিষেবা। নিজের জন্য আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এর মত বিলাসবহুল এক বিমান ক্রয় করেছেন মোদি। নিজেকে ভিখারি পরিচয় দেওয়া মোদি ৮০০০ কোটি টাকা খরচ করে এই বিলাসবহুল বিমান কিনে তা নিয়েই বিভিন্ন রাজ্যের নির্বাচনী প্রচার যাচ্ছেন নিত্যদিন। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশ জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু বর্তমান নির্বাচন কমিশনের চোখে মোদির কোন অপরাধ কখনোই ধরা পড়েনি আর এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয় নি। কিন্তু এত কিছু করার পরেও মোদি তার রাজনৈতিক জনসভায় গুলি থেকে জয় জওয়ান জয় কিষান স্লোগান দিতে থাকে। কিন্তু আজ দেশের লক্ষ লক্ষ কৃষক দিল্লি হরিয়ানা সীমান্তে প্রায় তিন মাসের বেশি সময় ধরে কৃষি বিল প্রত্যাহারের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভে বসে থাকলেও একবারও তাদের কথা ভাবেননি মোদি বরং তাদেরকে নানা রকম অপবাদ দিতেই তিনি ব্যস্ত ছিলেন শুধুমাত্র তার সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থ পূরণের জন্য।

 

 

যখনই মোদি সরকারের ব্যর্থ নীতিগুলির ব্যাপারে সাধারন মানুষ প্রশ্ন তুলতে শুরু করে তখনই সেনাদের নিয়ে দেশপ্রেমের নাটক শুরু করে গদি মিডিয়া। দেশপ্রেমের নাটকের মূল ভাগে থাকে সরকারি দলের সব কিছুর পিছনে দেশপ্রেম এবং জাতীয়তাবাদ দেখানোর খেলা। কিন্তু ছত্রিশগড় বিজাপুর এবং সুখমা জেলায় মাওবাদীদের হাতে আহত এবং নিহত সেনাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে ট্রাক্টর। সেনাদের দেওয়া হয়নি যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা। তাদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়নি দ্রুত চিকিৎসা ব্যবস্থার যে কারণে নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে রাজনীতি করা বিজেপি দেশের স্বার্থের ব্যাপারে আপোষ করে এখন এক লক্ষ সেনা ছাঁটাই করতে চলেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী থেকে। সব জায়গায় একটা অজুহাত টাকা নেই। যেখানে করদাতাদের টাকার ব্যবহার হওয়ার কথা ছিল সেখানে তা ব্যবহার হয়নি। যাদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখার জন্য চিন্তা করার কথা ছিল মোদির তাদের জন্য কোনো সময় নেই মোদির। বরং তাদের টাকায় রাজনীতি করতে ব্যস্ত মোদি। কখনো তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করা বিভিন্ন নেতাকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বারবার বিশেষ বিমানে ব্যবস্থা করা আবার কখনো রাষ্ট্রীয় খরচে বাংলাদেশ ভ্রমণ করে মতুয়াদের তীর্থকেন্দ্র গিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের জন্য মতুয়াদের ভোট করার চেষ্টা করা। সব ক্ষেত্রে খরচ হচ্ছে আপামর জনসাধারনের দেওয়া টাকা। কিন্তু যে সেনাদের কারণে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অটুট রয়েছে, অটুট রয়েছে দেশপ্রেমের নাটক করে গদিতে সওয়ার থাকা সাম্প্রদায়িক শক্তির রাজত্ব ও। কিন্তু অটুট নেই সাধারণ মানুষের স্বার্থ। রাষ্ট্রের স্বার্থে ব্যবহৃত হচ্ছে না করদাতা দের টাকা। এর বিরুদ্ধে সাধারণ জনগন বেখবর কারণ গদি মিডিয়ার সাম্প্রদায়িকতায় অন্ধ সবার চোখ।

Latest articles

Related articles