এনবিটিভি ডেস্কঃ কর্ণাটকে হিজাবের পরে এবার মুসলিমদের দরগাহতে হিন্দুত্ববাদীদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠাকে ঘিরে ধুন্ধুমার এলাকায়। মঙ্গলবার মহাশিবরাত্রি উপলক্ষে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন মুসলিমদের দরগাহতে পূজা করার সিদ্ধান্ত নেয়। দরগাহতে পূজা করতে না দেওয়াতে বেঁধে যায় সাম্প্রদায়িক ক্রন্দল। ঘটনাস্থল থেকে ১৬৭ জন মুসলিমদেরকে গ্রেফতার করলেও একজনও হিন্দুত্ববাদী সংগঠন শ্রী রাম সেনা কর্মীদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
উল্লেখ্য, এদিন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন শ্রী রাম সেনা কর্মীরা মহাশিবরাত্রি উপলক্ষে ১লা মার্চ লাডল মাশাক দরগায় রাঘব চৈতন্য শিবলিঙ্গ ‘শুদ্ধিকরণ’ পূজা করার সিদ্ধান্ত ন্যায়। অন্যদিকে একই দিনে শব-ই-মেরাজ পালনের পরিকল্পনা করে দরগা মুসলিম কর্তৃপক্ষ। মুসলিমদের দরগাহ হলেও সেখানে শিবলিঙ্গ ‘শুদ্ধিকরণ’ পূজা করতে মরীয়া হিন্দুত্ববাদী সংগঠন শ্রী রাম সেনা কর্মীরা।
হিংসার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন মঙ্গলবার উভয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের দরগায় যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভগবন্ত খুবা সহ বিজেপি নেতাদের নেতৃত্বে একদল উগ্রবাদীরা দরগায় পৌঁছে পূজা শুরু করে।
ফলে দুই সম্প্রদায়ের সদস্যদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। শুরু হয় ঢিল ছোড়া-ছুড়ি, যার ফলে কয়েকজন পুলিশসহ বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষ আহত হয়েছে।
এদিকে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। কর্ণাটক পুলিশ ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত এই অঞ্চলে সংঘাতের পূর্বাভাসের কথা ভেবে এলাকায় মোতায়েন করেছেন বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ শতাধিক মুসলিমদেরকে গ্রেফতার করলেও একজন শ্রী রাম সেনাকে গ্রেফতার করেনি। প্রশাসনের বিরুদ্ধে উঠছে দ্বিচারিতার অভিযোগ।