নিউজ ডেস্ক : এক দিকে শুভেন্দু ঘুরছেন দিল্লিতে। গিয়েছেন আরো ৩ বিজেপি সাংসদ। রয়েছেন তথাগত ও। রাজ্য নেতারা কেউ কিছুই জানেন না কেন তারা দিল্লিতে। বিজেপির অভ্যন্তরে এই বিশৃঙ্খল অবস্থা ধরা পড়ছে বিজেপির নিচু তলার কর্মীদের চোখেও। নির্বাচনে লজ্জাজনক হারের পর মনোবল হারানো কর্মীরা এই অবস্থায় তাই ধীরে ধীরে ত্যাগ করছেন গেরুয়া বসন। এবার এমন এক ঘটনা দেখা গেল বর্ধমানের নানুরে। ১৯৮৭ সাল থেকে বিজেপির একনিষ্ট কর্মী বিষ্ণু প্রকাশ। যখন এ রাজ্যে কেন গোটা ভারতের বেশিরভাগ মানুষ জানতেন না সাম্প্রদায়িক এই দলটির নাম তখন থেকে গেরুয়া শিবিরের এই কর্মী আজ যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তিনি নানুর বিধানসভার বিজেপির সি মণ্ডল ছিলেন এত দিন। কিন্তু আজ তার হাত ধরেই ১০০০ এর বেশি বিজেপি কর্মী যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে।
নানুর বিধানসভার অন্তর্গত নোয়ানগর কড্ডা, জুলুন্দি ও থুপসরা–এই তিনটি অঞ্চল থেকে প্রায় এক হাজার বিজেপি কর্মী এবং সমর্থক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। তাদের শপথ বাক্য পাঠ করিয়ে হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খান।
এত দিনের বিজেপি কর্মী হলেও তাকে বিজেপি কোনোদিন উপযুক্ত সম্মান দেয়নি। এছাড়া দীর্ঘদিন জেলে থাকার সময় ও তার পরিবারের কোনো খেয়াল রাখেনি বিজেপি নেতারা। কিন্তু তৃণমূল নেতারা তার পরিবারের পাশে ছিলেন। সেই ক্ষোভ থেকেই বিজেপি ত্যাগের সিদ্ধান্ত বলে তিনি জানান। তাদের সাহায্যের কারণেই তিনি জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খান বলেন, ‘নির্বাচনের আগে থেকেই এলাকাতে বেশ কিছু বিজেপি সমর্থক সন্ত্রাস করে বেড়াচ্ছিল। মানুষকে ভয় দেখিয়ে, ভুল বুঝিয়ে তারা এলাকাতে একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছিল। নির্বাচনের ফল বেরোবার পর সেই সমস্ত লোকজন এবং আরও বেশকিছু বিজেপি কর্মী–সমর্থকেরা নিজেরাই ভয়ে গ্রাম ছাড়া হয়েছিল।’