হতে পারে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের, আবার হতে পারে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়ার ঢল – কারণ যাই হোক না কেন, খবর হল আরো একটি উইকেট পতন হল বঙ্গ বিজেপির। সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে দল ছাড়লেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণকল্যাণী। তবে এখনও পর্যন্ত তিনি তৃণমূলে যাচ্ছেন কি না, তা পরিষ্কার করেননি। শুক্রবার দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে কৃষ্ণকল্যাণী বলেছেন, যেখানে দেবশ্রী চৌধুরী রয়েছেন, সেখানে তাঁর পক্ষে থাকা সম্ভব নয়।
দলত্যাগের পরেই সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। এর আগেও সাংসদ দেবশ্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করে বিজেপি বিধায়ক স্পষ্ট জানিয়েেছন েযখানে দেবশ্রী চৌধুরী থাকবেন সেখানে তাঁর পক্ষে থাকা সম্ভব নয়। সেকারণেই তিিন দল ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। এর আগেও কৃষ্ণকল্যাণী অভিযোগ করেছিলেন দেবশ্রী চৌধুরী ষড়যন্ত্র করে তাঁকে ভোটে হারাতে চেয়েছিলেন।
কৃষ্ণকল্যাণীর এই দলত্যাগের সিদ্ধান্ত ঘোষণাতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বিজেপির অন্দরে দ্বন্দ্ব বাড়ছে। প্রথম থেকেই কৃষ্ণ কল্যাণীর সঙ্গে প্রবল বিরোধ িছল দেবশ্রী। একাধিকবার প্রকাশ্যে বিজেপি বিধায়ককে নিশানা করেছিলেন তিনি।
তাঁর দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর তীব্র আক্রমণ করছেন দেবশ্রীকে। তিনি বলেছেন দীর্ঘদিন এলাকায় যান না বিজেপি সাংসদ। তারপরেও ছড়ি ঘোরাচ্ছেন তিনি। ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করছেন দেবশ্রী চৌধুরী।
বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের থেকেই ভাঙন শুরু হয়েছে বিজেপিতে। ভোট পরবর্তী সময়ে একের পর এক বিজেপি নেতা ও বিধায়ক ছাড়ছেন পদ্ম শিবির। কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায় প্রথম বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। পরবর্তীতে ব্রাত্য বসু ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে ঘাসফুলে আসেন কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায় ও বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ।