নিউজ ডেস্ক : বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর এবার নিজেদের ভুল ত্রুটি অন্বেষন করে আবার নতুন করে পথ চলা শুরু করতে চায় বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে ১৮ টি আসন পেলেও বিধানসভায় মিলেছে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা ও আসন সংখ্যা প্রত্যাশার থেকে অনেক কম। তাই এবার বিজেপি কর্মীদের ঠিকভাবে কাজ করার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হল। এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে তৃণমূল স্তরের কর্মীদের থেকে শুরু করে একেবারে দিলীপ ঘোষের মতো রাজ্য স্তরের নেতাদেরও।
মোদির ৭ টি মন্ত্রের ওপর ৭ সপ্তাহ ব্যাপী চলবে এই প্রশিক্ষণ। এর মাধ্যমে বিজেপি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যের ৪২ টি আসনের বেশিরভাগ আসনের দখল নেওয়ার প্রচেষ্টা চালাবে।
প্রসঙ্গত, গত লোকসভা ভোটে ১৮ টি আসনে জয় পায় বিজেপি। তাই বিজেপি সেইসময় ১২১ টি বিধানসভা আসনে এগিয়ে ছিল। কিন্তু বিধানসভা ভোটে ৭৭ আসনে জয় আসে। আর এই বিধানসভা ভোটের ফলাফল অনুযায়ী এখন বিজেপি দেখা যাচ্ছে ৯ টি লোকসভা আসনে এগিয়ে। বাকি ৯ টি লোকসভা আসনে শাসক তৃণমূল এগিয়ে বিজেপির থেকে। তাই লোকসভা ভোটে যাতে ১৮ টি আসন দখলে রেখে আরও নতুন আসন দখলে আনা যায়, সেইঈ পরিকল্পনাই করছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র আসন আসানসোলে পিছিয়ে বিজেপি, তেমনই সাংসদ লকেট চ্যাটার্জির আসন হুগলিতেও পিছিয়ে বিজেপি। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের লোকসভা আসন মেদিনীপুরেও পিছিয়ে রয়েছে বিজেপি। যা রীতিমতো ভাবাচ্ছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বকে। তাই পিরামিড পদ্ধতিতে চলবে ক্লাস। বিজেপির কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতারা ক্লাস নেবেন রাজ্যের সব পদাধিকারী, সব সাংসদ এবং জেলা সভাপতিরা। প্রতি রবিবার চলবে এই ক্লাস। ৭ সপ্তাহ ধরে হবে এই প্রশিক্ষণ শিবির। ভার্চুয়াল মাধ্যমে চলবে এই ক্লাস। যেই বিষয়ের উপর ক্লাস করবেন সাংসদরা, রাজ্য বিজেপির পদাধিকারী, জেলা সভাপতিরা সেই বিষয়ে তাঁরা ক্লাস করাবেন জেলা পদাধিকারী, বিধায়ক এবং মণ্ডল সভাপতিদের। বুধবার করে চলবে এই ক্লাস। জেলা পদাধিকারীরা আবার একই বিষয়ের উপর মণ্ডল পদাধিকারীদের ক্লাস নেবেন। শনিবার করে চলবে এই ক্লাস। প্রশিক্ষণ শিবির শেষ হবে আগস্ট মাসে। যে বিষয়গুলির উপর ক্লাস দেওয়া হবে সেগুলি হল: কৃষি ক্ষেত্রে সংশোধন ও সাফল্য, সাত বছরের মোদী সরকারের সাফল্য, জাতীয় সুরক্ষা, বিদেশ নীতি, আত্মনির্ভর ভারতের সঙ্কল্প, কেন্দ্রীয় গরিব কল্যাণ প্রকল্প, বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জীবন ও ভাবনা। সারা দেশেই বিজেপি নেতাদেরকে দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ। ৭ সপ্তাহ ধরে দেশজুড়ে চলবে এই ক্লাস। তারপর তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।