নিউজ ডেস্ক : বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে বিজেপির ভাঙনের কারণ হচ্ছেন মুকুল রায়। কিন্তু তাকে PAC চেয়ারম্যান করা হয়েছে বিজেপি বিধায়ক হওয়ার সুবিধা নিয়ে। বিষয়টিতে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ বিজেপি বিধানসভায় সমস্ত কমিটির সদস্যপদ ছাড়তে চলেছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যপালের কাছে এটা নিয়ে নালিশ করবে বলে জানিয়েছে বিজেপি। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের সাফ কথা, রীতি রেওয়াজ নীতি নৈতিকতার ওপর নির্ভর করে। আর বিজেপির মতো দল, যারা ক্ষমতার চরম অপব্যবহারের জন্য কুখ্যাত তাদের সঙ্গে নীতি নৈতিকতা দেখানো যাবে না।
বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটি ও হাউস কমিটি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই শাসক-বিরোধী টানাপোড়েন চলছিল। বিরোধীদের দাবি ছিল, ১৫টি কমিটির চেয়ারম্যান পদ। ১০টির বেশি ছাড়তে রাজি না শাসক শিবির। নিজেদের দাবিতে অনড় বিজেপি ও। তবে দু’পক্ষের মধ্যে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদ নিয়ে। চেয়ারম্যান কে হবেন, তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়। এই কমিটির জন্য ছ’জন বিধায়কের নাম পাঠায় গেরুয়া শিবির। সেখানে মুকুল রায়ের নাম ছিল না। এর মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, মুকুল রায় যেহেতু বিজেপিরই বিধায়ক, তাই তাঁকেই চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হবে। বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন তা কার্যকরও করা হয়েছে। এর ফলে ভঙ্গ হয়েছে বিধানসভার প্রায় ৫০ বছরের বেশি প্রথা।
বিজেপি ফুঁসছে। কিন্তু করার মতো তেমন কিছুই নেই। কারণ, প্রথা না মানলে আইনি ভাবে সরকারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। বর্তমানে বিধানসভায় বিভিন্ন কমিটির চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন বিজেপির মিহির গোস্বামী, মনোজ টিগ্গা, নিখিলরঞ্জন দে, অশোক কীর্তনীয়া-সহ বেশ কয়েকজন। তাঁরা সকলেই পদ ছেড়ে দেবেন বলে সিদ্ধান্ত বিজেপির। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিধানসভায় আসবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে বসে পদত্যাগপত্রের বয়ান চূড়ান্ত হবে। তারপরই তাঁরা চিঠি নিয়ে যাবেন রাজভবনে। রাজ্যপালের কাছে নালিশ জানাবেন। বিজেপির এই স্ট্র্যাটেজি শাসকদল খুব একটা পাত্তা দিচ্ছে বলে আপাতত মনে হচ্ছে না।