বন্ধুত্বের বিধি লঙ্ঘন! প্রিয় বান্ধবীকে খুনের জন্য এক মহিলা ভাড়া করলেন ‘টার্গেট কিলারকে’!

নিউজ ডেস্ক : বন্ধুত্ব সেই শৈশব থেকে। একসঙ্গে বেড়ে ওঠা, পড়াশোনা, জীবন চলা পাঞ্জাবের হাফিজাবাদ অঞ্চলের জালালপুর এলাকার দুই বান্ধবীর। একইসঙ্গে বেঁচে থাকা, একই সঙ্গে মৃত্যুবরণ করার শপথ নিয়ে হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন দুজনেই। বন্ধুত্বের ক্ষতি যাতে কোন দিন না হতে পারে সেজন্য তারা প্রতিজ্ঞা করেছিলেন সারা জীবন বিয়ে না করার। এভাবেই বহুদিন কেটে গিয়েছে তাদের দুজনের।

কিন্তু সমস্যা হয় যখন পরিবারের অত্যাধিক চাপের মুখে পড়ে দুই বান্ধবীর একজন বিয়ের পিঁড়িতে বসার জন্য সম্মতি দিয়ে দেন। সহ্য হয় না আর এক বান্ধবীর। বারবার তাকে বন্ধুত্বের বিধির কথা স্মরণ করিয় কোনো লাভ হচ্ছে আশা নেই দেখে আরেক বান্ধবী নিলেন এক চরম সিদ্ধান্ত। বন্ধুত্বের বিধি লংঘন করা বান্ধবীর বাড়ি থেকে আড়াই লক্ষ টাকার গহনা চুরি করে এবং তা বিক্রি করে সেই টাকা তিনি তুলে দিলেন ভাড়াটে খুনির হাতে। প্রিয় বান্ধবীকে খুন করার সময় তারিখ এবং পদ্ধতি সবকিছুই নিজের মনের মত করে খুনিকে বলে দেন তিনি।

ভাড়াটে টার্গেট কিলার সময়মতো সেই বান্ধবীর বাড়িতে উপস্থিত হন ঠিক ভোরের একটু আগে। অটোমেটিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গুলি চালিয়ে গুরুতরভাবে জখম করেন তাকে। নিজের কাজ সেরে যথারীতি সে চম্পট দেয়। কেউ জানে না বিষয়টা কি এবং কিভাবে হল। কিন্তু গুলিবিদ্ধ আহত মহিলাটি তখনো জীবিত ছিলেন। ফলে পরিবারের সবাই তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করেন। ডাক্তারদের যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কারণে নিজের জ্ঞান ফিরে পান তিনি। তারপর তার মুখেই ঘটনা শুনে বিস্মিত এবং হতভম্ব সবাই। দুই বান্ধবীর মধ্যে এমন ব্যতিক্রমী ভালোবাসা এবং প্রতিশোধের ঘটনা নজিরবিহীন। তবে নিজের প্রতিশোধ নিতে পেরে খুনি ভাড়া করা বান্ধবী এখন পলাতক। পাকিস্তানের পাঞ্জাবের পুলিশ এখন ভাড়াটে খুনি এবং ওই বান্ধবীর খোঁজ শুরু করেছে জোর তল্লাশি।

Latest articles

Related articles