নিউজ ডেস্ক : দেশে করোনা সংক্রমনের উচ্চ হারের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিদিন নতুন নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করে চলেছে মৃত্যুর সংখ্যা। সংক্রমণ এবং মৃত্যুর এই উচ্চ হারের পিছনে একটা কারণ ভ্যাকসিন কর্মসূচির শ্লথ গতিকে দায়ী করেছেন চিকিৎসা মহলের অনেকে। ভ্যাকসিন নিজের দেশের মানুষকে না দিয়ে বিদেশে রপ্তানি করার অভিযোগ তোলা হয়েছে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। তাই এবার রাজ্যগুলিকে ভ্যাকসিন কর্কদুচিতে গতি আনতে মোট ৫ কোটি ৮৬ লক্ষ্ ২৯ হাজার ভ্যাকসিন ১৫ ই জুনের মধ্যে সরবরাহ করার কথা ঘোষণা করল কেন্দ্র।
প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে এখন বিভিন্ন পর্যায়ে ১৮ বছরের বেশি বয়সি সবাইকেই ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা। কিন্তু, ভ্যাকসিনের জোগানের সমস্যার জন্য এখনও অনেক রাজ্যেই ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণ শুরু করা যায়নি। আবার অনেকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেলেও দ্বিতীয় ডোজ পাননি। কেন্দ্রের তরফে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে, এখন থেকে কোভিশিল্ডের (Covishield) দ্বিতীয় টিকার ডোজ নিতে হবে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ পরে। তাতে বিতর্ক আরও বেড়েছে। অনেকে মনে করছেন, জোগানের অভাবেই কৌশলে দ্বিতীয় দফার টিকাকরণ পিছিয়ে দিতে চাইছে সরকার। তবে, সে বিতর্ক উপেক্ষা করে কেন্দ্র আরও একবার স্পষ্ট করে দিল, এখনও রাজ্যগুলিকে যথেষ্ট পরিমাণ টিকার জোগান দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ১৫ জুনের মধ্যে প্রায় ৫ কোটি ৮৬ লক্ষ ২৯ হাজার ভ্যাকসিন বিনামূল্যে দেওয়া হবে রাজ্যগুলিকে। শুধু তাই নয়, টিকা প্রস্তুতকারকদের কাছ থেকে জুনের শেষ পর্যন্ত আরও ৪ কোটি ৮৭ লক্ষ ৫৫ হাজার টিকার ডোজ সরাসরি কিনতে পারবে রাজ্যগুলি।
এই বিপুল পরিমাণ টিকাদানে যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলিকে জেলাওয়াড়ি পরিকল্পনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রতিটি টিকাদান কেন্দ্র যেন আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত টিকাদান ক্যালেন্ডার অগ্রিম কো-উইন অ্যাপে প্রকাশ করে দেয়, যাতে টিকাকেন্দ্রগুলিতে অকারণ ভিড় এড়ানো যায়।