মুখ্য সচিব পদে তাঁকে রেখে দিতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই আর্জিতে সায় দেয় কেন্দ্র। ঠিক হয়, আপাতত আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ই বাংলার মুখ্যসচিব পদে থাকবেন। হঠাৎই এই ব্যাপারে মত বদল করল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। শুক্রবার আলাপন বাবুকে চিঠি দিয়ে বদলির নির্দেশ দিল কেন্দ্র সরকার। রাজ্য সরকারের প্রয়োজন বাদ কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুসারে আপাতত দিল্লিতে কাজ করতে হবে তাঁকে। এই মর্মে চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের কাছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের এই পদক্ষেপকে প্রতিহিংসামূলক বলে মন্তব্য করেছেন। উল্লেখ্য এর আগেও কেন্দ্রে রাজ্য সরকারের মতের বিরুদ্ধে গিয়ে ৩ জন আইপিএস অফিসারের বদলির নির্দেশ দিয়েছিল। মোদির প্রধানমন্ত্রীত্ব লাভের পর থেকে দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে এইভাবে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে বিজেপি,এমন অভিযোগ প্রায়শই শোনা যায় বিরোধী দল গুলো এবং বুদ্ধিজীবী মহল থেকে।
৩১ মে অর্থাৎ সোমবার সকাল ১০টায় তাঁকে দিল্লিতে কর্মিবৃন্দ ও প্রশিক্ষণ মন্ত্রকে হাজিরা দিতে হবে। গত ২৪ মে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মুখ্যসচিব পদে তিন মাসের জন্য মেয়াদ বৃদ্ধি হয়েছে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
গত বছর অক্টোবর মাসে মুখ্যসচিবের দায়িত্ব নিয়েছিলেন আলাপন। তার আগে স্বরাষ্ট্র দপ্তরের সচিব ছিলেন তিনি।
রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি এবং ঘূর্ণিঝড় যশের কারণে বর্তমানে যে জরুরিকালিন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে ঠিক সেই সময়েই রাজ্যের মুখ্য সচিবকে এভাবে বদলি করা নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে মোদি সরকারের বিরোধ এখন তুঙ্গে।
এক জন আইএএস ৬০ বছর পর্যন্ত কাজ করতে পারেন। সেই অনুযায়ী ৩১ মে মুখ্যসচিব পদে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যকাল শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার তাঁকে এই পদে রেখে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানায়। তাতে সায় দেয় কেন্দ্র।
তিন মাস মেয়াদ বাড়ায় আগস্ট পর্যন্ত এই পদে কাজ করার কথা তাঁর। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমফান ও কোভিডের সময় কাজ করেছেন আলাপন। তাঁর অভিজ্ঞতা রয়েছে। মুখ্যসচিবের মেয়াদ বৃদ্ধিতে আমরা খুশি।’ এর আগে কলকাতা পুরসভার কমিশনার, পুর, পরিবহন এবং শিল্প দপ্তরে বিভিন্ন সময়ে কাজ করেছেন ১৯৮৭ ব্যাচের এই আইএএস অফিসার।