নিউজ ডেস্ক : কয়েকদিন আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রী লাদাখ সীমান্তে পরিস্থিতি যে খুব একটা ভালো নয় তার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।এবার সেনাবাহিনীর প্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে স্বয়ং শোনালে আরো এক আশঙ্কার কথা। তিনি বলেন চীন এবং পাকিস্তান যৌথভাবে ভারত আক্রমণের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। চীন এবং পাকিস্তানের এই যোগসাজশ ভারতের জন্য যে এক অশনী সংকেত তাও তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন। ভারতকে যে একই সঙ্গে দুটি দেশের সঙ্গেই লড়াই করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে সেটা তিনি সুস্পষ্ট ভাবে বলেন। কিন্তু ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং অর্থনীতির কি সেই সক্ষমতা আছে আমেরিকার প্রতিদ্বন্দী চীনের বিশাল অর্থনীতি এবং সেনাবাহিনীর সঙ্গে পারমাণবিক শক্তিধর পাকিস্তানের একই সঙ্গে মোকাবিলা করার, নানা মহল থেকে উঠছে এমন প্রশ্ন।
মঙ্গলবার আর্মি ডে উপলক্ষে এক সাংবাদিক বৈঠকে সেনাপ্রধান বলেন,”পাকিস্তান এবং চিন দেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বড় বিপদ। আর এই দুই দেশের যোগসাজশ উপেক্ষা করার মতো নয়।” চিন ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কোনও এলাকা দখল করে রেখেছে কিনা সে প্রশ্নের সরাসরি উত্তর সরাসরি এড়িয়ে গিয়ে সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, তাঁর আশা আলোচনার মাধ্যমে লাদাখ সমস্যার সমাধান সম্ভব। আর সেটা না হলে, সেনা সব রকম ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত। জেনারেল নারাভানে এদিন বলেন,”পাকিস্তান এবং চিন যৌথভাবে ভারতের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। এদের যোগসাজশ থেকে বিপদের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।” সেনাপ্রধান এদিন সাফ জানিয়েছেন, ভারতকে দ্বিমুখী লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।
প্রসঙ্গত, লাদাখের পরিস্থিতি যে খুব একটা অনুকূলে নয়, দিন কয়েক আগে সেটা স্বীকার করেছিলেন খোদ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও । রাজনাথ বলেছিলেন, গত কয়েক মাস ধরে চিনের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার পরও দু’দেশের সম্পর্কের কোনও উন্নতি হয়নি। সীমান্ত সমস্যার সমাধান হওয়া তো দূরের কথা, উল্টে নিজেদের এলাকায় পরিকাঠামো তৈরির কাজ করছে ড্রাগন। তাই এখনই লাদাখ সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার করাটা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। তিনি আরো বলেন, চিনারা নিজেদের সীমান্তে বহু পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করছে। যার পালটা ভারতকেও বাহিনীর জন্য দ্রুততার সঙ্গে পরিকাঠামো উন্নয়ন করতে হচ্ছে।” সব মিলিয়ে পরিস্থিতি যে উদ্বেগজনক ভারতের সরকার এবং সেনা বাহিনীর কাছে সে ইঙ্গিত রাজনাথের কথাতে মিলেছিল। আজ সেনাপ্রধানের গলাতেও একই সুর শোনা গেল।