নিউজ ডেস্ক : ২০১৯ সালে অসাংবিধানিক এবং বৈষম্যমূলক আইন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস করে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন সাম্প্রদায়িক শক্তি। এই আইনের প্রতিবাদ করায় হেনস্থা, মিথ্যা মামলার স্বীকার হন বহু মানুষ। অনেকের বিজেপি সরকারের অধিনস্ত পুলিশের গুলিতে নিহত হন। তবে করোনা কালে এই আইন কার্যকর না করার ঘোষণা দিলেও এবার সেই আইন কার্যকর করা শুরু করল বিজেপি সরকার। মধ্য প্রদেশের বিজেপি সরকার ৬ জন পাকিস্তানি নাগরিককে ইতিমধ্যেই নাগরিকত্ব প্রদান করেছে। জানিয়েছে সর্বভারতীয় সংবাদপত্র দা হিন্দু।
মধ্য প্রদেশ সরকারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কয়েক দশক ধরে মধ্যপ্রদেশে বসবাসরত ছয় পাকিস্তানি অভিবাসীকে নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের (সিএএ) আওতায় গত ৭ জুলাই ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র বলেছেন, এই অভিবাসীরা ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়েছিল।
“প্রতিবেশী দেশগুলিতে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে এখানে আসা এই হিন্দু অভিবাসীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার এই প্রক্রিয়াটি শেষ করে আজ তাদের ভারতীয় নাগরিকত্বের শংসাপত্র হস্তান্তর করেছে, “মিঃ মিশ্র সাংবাদিকদের বলেন।
তিনি আরো জানিয়েছেন, যে ছয়জনকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছিল তাদের মধ্যে নন্দলাল ও অমিত কুমার ভোপালের বাসিন্দা এবং অর্জুনদাস মনচন্দনি, জয়রাম দাশ, নারায়ণ দাশ এবং সৌল্য বৌ মন্দাসৌরের বাসিন্দা, মন্ত্রী জানিয়েছেন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই ব্যক্তিরা ১৯৮৮ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ থেকে মধ্য প্রদেশে এসেছিলেন।
ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরের আগে ভারতে আগত আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সী এবং খ্রিস্টান অভিবাসীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দিতে ২০১৯ সালে CAA পাস করে সাম্প্রদায়িক মোদি সরকার।
সামনে উত্তর প্রদেশ সহ বেশ কিছু রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে ভোটে জিততে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ এবং হিন্দুত্ববাদী নীতি ছাড়া কিছুই নেই বিজেপির হাতে। তাই এই পদক্ষেপ বলে মনে করছেন অনেকে।