গুজরাটের কোভিড কেয়ার সেন্টারে গোমূত্র খাইয়ে চলছে আজব চিকিৎসা,নেট দুনিয়ায় হাসির রোল

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

IMG_20210509_174930

নিউজ ডেস্ক : গুজরাতের বনষ্কণ্ঠ জেলার তেতোরা গ্রামে একটি গোশালায় তৈরি করা হয়েছে কোভিড কেয়ার সেন্টার। সেখানে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় আয়ুর্বেদ ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। রোগীদের খাওয়ানো হচ্ছে গোমূত্র থেকে তৈরি ওষুধ। সেন্টারটিতে ব্যাবহার করা বেশিরভাগ ওষুধ দেশী গোমূত্র থেকে তৈরি বলে জানা গিয়েছে। যা নিয়ে নেট দুনিয়ায় হাসির ফোয়ারা ছুটছে এখন। কেউ কেউ বলছেন গোমূত্র এত উপকারী হলে এত কষ্ট করে বিদেশ থেকে ওষুধ এবং অক্সিজেন আনতে হচ্ছে কেন?গোমূত্র ব্যবহার করলেই হয়।

কোভিড কেয়ার সেন্টারের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বেদলক্ষণ পঞ্চগব্য আয়ুর্বেদ কোভিড আইসোলেশন সেন্টার’। এই মুহূর্তে সেখানে ৭ জন রোগী ভর্তি বলে জানা গিয়েছে। ‘গোধাম মহাতীর্থ পথমেদা’র শাখা বনষ্কণ্ঠের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মোহন যাদব বলেন, ‘‘আমরা ৫ মে থেকে এই সেন্টার শুরু করেছি। মৃদু উপসর্গ যুক্ত করোনা রোগীদের ৮ রকমের আয়ুর্বেদিক ওষুধ দিয়ে আমরা চিকিৎসা করছি। এই ওষুধ তৈরি হয়েছে গরুর দুধ, ঘি ও গোমূত্র থেকে। আমরা পঞ্চগব্য আয়ুর্বেদ পদ্ধতিতে চিকিৎসা করছি। তার জন্য ‘গৌতীর্থ’ ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ‘গৌতীর্থ’ দেশি গরুর মূত্র থেকে তৈরি হয়। তার সঙ্গে অন্যান্য উপাদানও ব্যবহার করা হয়। সেই সঙ্গে কাশির ওষুধের জন্য আমরা মূলত গোমূত্র থেকে তৈরি ওষুধ ব্যবহার করছি। গরুর দুধ থেকে তৈরি চবনপ্রাশও দিচ্ছি আমরা।’’

 

কিন্তু স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, একটি গোশালাতে কোভিড কেয়ার সেন্টার তৈরি করা কিংবা ওষুধ হিসাবে গোমূত্রের ব্যবহার কতটা বিজ্ঞানসম্মত? সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কেন্দ্রের আয়ুশ বিভাগের তরফ থেকে একটি আয়ুর্বেদিক ওষুধ করোনা চিকিৎসার জন্য ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে যদিও সেটা কোনো ট্রায়াল পর্বের মধ্যে দিয়ে পরীক্ষিত নয়। তাই এই ভাবে গোমূত্র সরাসরি ব্যবহার করে রোগীদের নিয়ে খেলা করার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ বাড়লেও গুজরাট সরকার গরু প্রেমের জন্যই এটার অনুমতি দিচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নেট নাগরিকরা গুজরাট সরকারকে কটাক্ষ করে বলছেন, গুজরাটের সব মেডিক্যাল হাসপাতাল গুলো বন্ধ করে দিয়ে এমন গোমূত্রের সাহায্যে পরিচালিত কেয়ার সেন্টার চালানোর অনুমতি দিক। অবশ্য নিজেদের গোমূত্রের ওপর ভরসা পুরোপুরি করতে না পেরে সেখানে দুই জন এমবিবিএস ডাক্তার নিয়োগ করেছেন তারা। যারা রোগীদের অবস্থা বুঝে অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ দিয়ে যাচ্ছেন।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর