এনবিটিভি নিউজ ডেস্ক: আজ ইয়ং বেঙ্গলের উদ্যোগে ভাঙড়-১ ব্লক অফিসে আমফান ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সকলের ক্ষতিপূরণ সুনিশ্চিত করার দাবিতে ডেপুটেশন কর্মসূচি গ্ৰহণ করে। অঞ্চলের মানুষ বেলা ১২ টা নাগাদ ঘটকপুকুর মোড় থেকে মিছিল করে বিডিও অফিসে পৌঁছন। ব্লকের জয়েন্ট বিডিও স্মারকলিপি গ্রহণ করেন এবং ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সাথে আলোচনা করেন। আলোচনার মাধ্যমে যে বিষয়গুলি জানা গিয়েছেঃ
১। প্রথম পর্যায়ে পঞ্চায়েতের দেওয়া তালিকার ভিত্তিতে ২০০০০/- টাকা করে ঘর-বাড়ির ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করার পরেও এই ক্ষতিপূরণ প্রাপকদের তালিকা এখনো প্রকাশ করা হয় নি। ভাঙড়-১ ব্লকে কয়েকজন নাকি ভুল করে ক্ষতিপূরণ পেয়ে তারপর টাকা ফেরত দিয়েছে বলে আমাদের জানানো হয় কিন্তু তাদের নাম বা সংখ্যা জানানো হয়নি।
২। দ্বিতীয় পর্যায়ে ব্লক অফিসে ৯৯৬০টি ক্ষতিপূরণের আবেদন জমা পড়েছে। এর ভিত্তিতে গ্রামে গিয়ে সমীক্ষার কাজ এখনো চলছে। কবে সেই কাজ শেষ করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে আধিকারিক তা জানাতে পারেননি। পূর্ণাঙ্গ তালিকা জনসমক্ষে প্রকাশ করার বিষয়েও কোন আশ্বাস পাওয়া যায়নি। কে কত পরিমাণ ক্ষতিপূরণ পাবে সেটা নিয়েও আধিকারিকরা কোন নির্দিষ্ট তথ্য বা নির্দেশিকা দিতে পারেননি।
৩। কৃষকদের ক্ষতিপূরণ, ১০০ দিনের কাজ বা কোভিড-১৯ টেস্টিং-এর ব্যাপারেও আধিকারিকদের কাছে কোন নির্দিষ্ট আশ্বাস পাওয়া যায়নি।
ভাঙড়-১ ব্লকে যে আমফান ক্ষতিপূরণের নামে চূড়ান্ত দুর্নীতি এবং অরাজকতা চলছে তা ব্লক আধিকারিকদের সাথে আজকের আলোচনা থেকেই পরিষ্কার। ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদনকারীদের কাউকে কোন রশিদ বা রিসিভ কপি দেওয়া হয় নি, যার ফলে আসল ক্ষতিগ্রস্তদের জায়গায় অসাধু লোকেরা ক্ষতিপূরণ পেয়ে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিপূরণ প্রাপকদের তালিকা প্রকাশ করার কথা বলছেন কিন্তু ব্লক স্তরে সেটা মোটেও বাস্তবায়িত হচ্ছে না। বরং দুর্নীতিকে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে।
ইয়ং বেঙ্গলের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত দাবিগুলির মীমাংসা করার জন্য প্রশাসনকে ২ সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের ২ মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরেও যদি অধিকাংশ ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসী ক্ষতিপূরণ না পান তাহলে আন্দোলনে যাওয়া ব্যতীত আর কোন পথ খোলা থাকবে না।