এনবিটিভি ডেস্কঃ আজ রাজ্যে ১০৮ টি পুরসভা ভোটের ফল প্রকাশ হয়। যার মধ্যে রাজ্যে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ১০৩ টি পুরসভা’তে জয় লাভ করে। মাত্র ৫ টি জায়গাতে তৃণমূল বিরোধী শিবিরের পতাকে ওড়াতে সক্ষম হয়েছে। এদিকে দার্জিলিঙে মাত্র কয়েক মাস পূর্বে তৈরি হয় হামরো পার্টি। এককভাবে দার্জিলিং পুরসভা দখল করল হামরো পার্টি। পাহাড়ের হামরো পার্টির এই অল্প সময়ের সাফল্য অবাক করে দিয়েছে বিশেষজ্ঞ মহলকে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর জন্ম হয় হামরো পার্টির। পাহাড়ের রাজনীতিতে নতুন সংযোজন নিয়ে আসে বিখ্যাত গ্লেনারিজ রেস্তরাঁর কর্তা অজয় এডওয়ার্ডস। পাহাড়িদের জীবন যাত্রার মান উন্নায়নের জন্য এই দলের গঠন বলে জানা যায়। প্রথম বারেই দার্জিলিং পুরসভা দখল করার সাফল্যে উৎফুল্ল পাহাড়িবাসী। ফলে পাহাড়ে তৈরি হল নয়া রাজনৈতিক সমীকরণ।
এবার দার্জিলিং পুরসভা দখল করল নয়া দল হামরো পার্টি। ৩২ টির মধ্যে ১৮ টি ওয়ার্ডে দখল করেছে হামরো পার্টি। যা দার্জিলিং পুরসভার ‘ম্যাজিক ফিগার’ বলে ধরা হয়। গোর্খা ন্যাশানাল লিবারেশন ফ্রন্ট (জিএনএলএফ) থেকে বেরিয়ে এসে দল তৈরি করেছেন অজয় এডওয়ার্ডস।
বিজেপি একটিও আসন পায়নি পাহাড়ের চেনা গেরুয়া শিবির থেকে। এমনকি পাহাড়ে দাগ কাটতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেসও। মাত্র দুটি ওয়ার্ডে জিতেছে ঘাসফুল শিবির। অনীত থাপার দল পেল আটটি আসন। অন্যদিকে বিমল গুরুঙের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা পেল আটটি আসন। সেই পরিস্থিতিতে পাহাড়ে নয়া রাজনৈতিক সমীকরণ দেখতে পারছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাঁদের বক্তব্য, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট এবং ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপি যেভাবে পাহাড়ে ফায়দা তুলেছিল, তা ধরে রাখতে পারল না এই পুরভোটে। সেক্ষেত্রে আঞ্চলিক দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। বরং নয়া দল উঠে এল পাহাড়ে।
শুধু তাই নয়, পাহাড়ে তৈরি হল নতুন প্রশ্ন। কিছু দিন আগেই তৃণমূলের হাত ধরা বিমল গুরুং কিংবা নতুন দল বানানো অনীতা থাপাদের অস্তিত্বও কি তবে বিপন্ন হতে চলেছে? আবারও কি পাহাড়ে কমর বেঁধে নামবে তৃণমূল শিবির, তা সময় বলে দেবে।