এনবিটিভি: দিল্লি দাঙ্গার নিরপেক্ষ তদন্ত নিয়ে অমিত শাহের পুলিশের ভূমিকার প্রশ্ন তুলল দেশের খ্যাতনামা সমাজকর্মী হর্স মান্দার, যোগেন্দ্র যাদব, অপূর্বানন্দ, ওমর খালিদ প্রমূখ। শুক্রবার অনলাইন আলোচনা সভা থেকে দিল্লি পুলিশের সামনে এগারো দফা প্রশ্ন তুলে ধরেন বক্তারা। আলোচনা সভায় বক্তারা অভিযোগ করেন দাঙ্গার তদন্তের নামে দিল্লি পুলিশ সিএএ, এনআরসির প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। গত কয়েক মাসে দিল্লি পুলিশের ধরপাকড় যেভাবে চলছে তাতে এই প্রশ্ন উঠছে বলে অভিযোগ করেন। সকলেই অভিযোগ করেন দিল্লিতে যারা আক্রান্ত হলেন তাদেরকে এই অপরাধী সাজানোর চেষ্টা চলছে। আর যারা প্রকৃত অপরাধী তারা পুলিশের সামনে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আলোচনা সভায় অভিযোগ ওঠে পুলিশ আসলে উঁচুতলার নির্দেশ মেনে সেই অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজাচ্ছে। সংবাদ সূত্র জানাচ্ছে এখনো মিথ্যা অভিযোগে দিল্লি পুলিশ তেরোশো মুসলিম যুবককে গ্রেফতার করে রেখেছে।
এদিন হর্স মান্দার অভিযোগ করেন দিল্লি দাঙ্গার আগে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর যে প্ররোচনামূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন দিল্লি পুলিশ সেই বক্তব্যকে কোনভাবেই তদন্তের আওতায় নিয়ে আসছেন না। মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের “গুলি মারো সালে কো” স্লোগানকেও দিল্লি পুলিশ দাঙ্গা উস্কানি মনে করছেন না। সমাজকর্মী অপূর্বানন্দ বলেন তদন্তের আগেই অমিত শাহ কিছু ব্যক্তি ও সংগঠনকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করলেন কিভাবে ? আর পরে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ দিল্লি পুলিশ সেই ব্যক্তিদেরকেই টার্গেট করে গ্রেফতার করছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজাচ্ছেন। হর্স মান্দার বলেন আগামী দিনে সরকারবিরোধী প্রতিবাদের সম্ভাবনা নির্মূল করতে পুলিশের এই ন্যাক্কারজনক অপচেষ্টা।