দিল্লি হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি যশবন্ত বর্মার অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু করার সুপারিশ করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না। সূত্রের খবর, এই সুপারিশ জানিয়ে তিনি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছেন। নগদকাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল বিচারপতি বর্মার। তাঁকে ইলাহাবাদ হাই কোর্টে বদলি করা হয়েছিল। তিন সদস্যের প্যানেল তদন্ত শুরু করে। সেই প্যানেলের রিপোর্ট পাওয়ার পরে বিচারপতি বর্মার অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু করার সুপারিশ করলেন প্রধান বিচারপতি।
নগদকাণ্ডে তদন্ত করেছিল তিন বিচারপতির প্যানেল। ৩ মে রিপোর্ট জমা দিয়েছিল সেই প্যানেল। সেই রিপোর্টে কী রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট বিবৃতি দিয়ে বলে, ‘‘রাষ্ট্রপতি এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। তিন সদস্যের তদন্তকারী প্যানেলের রিপোর্টও রয়েছে সঙ্গে। প্রধান বিচারপতির চিঠির সঙ্গে বিচারপতি যশবন্ত বর্মার লেখা জবাবও পাঠানো হয়েছে।’’

গত ১৪ মার্চ, দোলের দিন দিল্লির দমকলবাহিনীর দফতরে খবর যায় যে, বিচারপতি বর্মার সরকারি বাংলোর গুদামে আগুন লেগেছে। দমকলকর্মীরা আগুন নেবাতে গিয়ে পোড়া নোটের বান্ডিল উদ্ধার করেন। বিচারপতি বর্মা দাবি করেন, ওই গুদাম বহু মানুষজন ব্যবহার করেন। সেখানে নোট রাখা রয়েছে বলে তিনি জানতেন না।

এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করে তিন সদস্যের কমিটি। সেই কমিটিতে রয়েছেন পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি শিল নাগু, হিমাচল প্রদেশ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি জিএস সান্ধাওয়ালিয়া, কর্নাটক হাই কোর্টের বিচারপতি অনু শিবরামন। গত রবিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে রিপোর্ট দিয়েছে এই কমিটি। নগদকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পরে বিচারপতি বর্মার দিল্লি হাই কোর্ট থেকে ইলাহাবাদ হাই কোর্টে বদলির সুপারিশ করেছিল সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। তাতে ছাড়পত্র দেয় কেন্দ্র। কিন্তু ইলাহাবাদ হাই কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন এই বদলির বিরোধিতা করে। এর পরেই স্থির করা হয় যে, যত দিন বিচারপতি বর্মার বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে, তত দিন তাঁকে বিচারবিভাগীয় কোনও কাজ দেওয়া হবে না। যদিও ইলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন তিনি। এবার তার অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু করার সুপারিশ করলেন দেশের প্রধান বিচারপতি।