ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজের টোপ দিয়ে ৬ মাস ধরে এক তরুণীকে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে শ্বেতা খান ও তার ছেলে আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে। ৬ মাস ধরে তরুণীর উপর চলেছে অকথ্য অত্যাচার। হাওড়ার ডোমজুড় থানার বাঁকড়া দেওয়ান পাড়ায় একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করেন শ্বেতা ও আরিয়ান।
বেশ আড়ম্বরপূর্ণ বিলাসবহুল জীবন কাটাতেন শ্বেতা খান ও তার ছেলে আরিয়ান। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের আড়ালে চলত সফট পর্নোগ্রাফির ব্যবসা। হাওড়া ডোমজুড়ে মা শ্বেতা খান ও ছেলের আরিয়ানের উদ্যোগে সফট পর্নোগ্রাফির কুকীর্তির মাঝে এবার মূল অভিযুক্ত শ্বেতা খানের একের পর এক ছবি ও ভিডিও সামনে আসছে। প্রশ্ন উঠছে, কিভাবে শ্বেতা খান বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হলেন? কিভাবেই বা এত বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন শ্বেতা?

ডোমজুড়ের পর্নোগ্রাফি কাণ্ডে প্রত্যক্ষভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে শ্বেতা খানের নাম জড়িয়ে গেছে। অভিযোগ উঠছে প্রায়শই তৃণমূল কংগ্রেসের মিছিল অথবা সভায় দেখা যেত শ্বেতা খানকে। অরূপ রায়, রাজীব বিশ্বাসের সঙ্গে শ্বেতা খানের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। সমাজ মাধ্যমে এই ছবিগুলি জনসমক্ষে আসার পর তোলপাড় পড়েছে বঙ্গীয় রাজনীতিতে।
সেই কারণে বর্তমানে শ্বেতা খানকে ধান্দাবাজ তকমা দিয়ে শ্বেতার থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। অথচ শ্বেতা নিজেই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে নিজেকে তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করেছেন।
নির্যাতিতা মহিলা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার পরে ৩-৪ দিন কেটে গেলেও এখনো শ্বেতা খান ও তার পুত্র আরিয়ান খানকে ধরতে ব্যর্থ পুলিশ।