আজ রাত ৮টা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল কমিশন, গণতন্ত্রের কালো দিন, বলল তৃণমূল

নিউজ ডেস্ক : নির্বাচন কমিশন এখন বিজেপির কমিশন, সাধারণ মানুষের আস্থা নেই তাদের ওপর, বলছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। একই মতো বেশিরভাগ বিরোধী নেতানেত্রীর ও। নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে এই চরম বিতর্কের মাঝেই কমিশন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর আগামী ২৪ ঘণ্টার নির্বাচনী প্রচারে করল কমিশন। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ডেরেক ও ব্রায়েন আজকের দিনটিকে দেশের গণতন্ত্রের কালো দিন বলে অভিহিত করেছেন। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক দাবি করে এর প্রতিবাদে আগামীকাল গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

 

 

সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। একটি মন্তব্য ছিল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোট সংক্রান্ত, অপর মন্তব্যটি ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও প্রসঙ্গে। তাঁর এই দুই মন্তব্যের জেরে রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন বিরোধীরা। এর পরই ৭ এপ্রিল তৃণমূলনেত্রীকে শোকজ করে কমিশন। ৯ তারিখ সেই শোকজের জবাব দিয়েছিলেন মমতা। কমিশনের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, তৃণমূল নেত্রীর সেই জবাব সন্তোষজনক নয়। কমিশনের দাবি, শোকজের বাছাই করা অংশের জবাব দিয়েছিলেন মমতা। তার জেরেই এই কড়া পদক্ষেপ।

 

বিজেপি নেতারা বার বার তাদের নির্বাচনী প্রচারে সাধারণ মুসলিমদের পাকিস্তানি, দুধেল গাই ইত্যাদির মতো ভাষা প্রয়োগ করলেও নিরপেক্ষ’ নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টিতে তা নির্বাচনী আচরন বিধির বিরুদ্ধে যায়নি। এমনকি কেউ সব জায়গায় শীতল কুচির মতো গুলি করে মুসলিম মারার হুমকি দিলেও তা নির্বাচন কমিশনের কাছে নিষেধাজ্ঞার উপযুক্ত মনে হয়নি।

Latest articles

Related articles