দেশবাসীর সংশয় দূরীকরণে ব্রিটেনের মহারানী নিলেন প্রাথমিক করোনা ভ্যাকসিন,কেন পারবেন না মোদি? উঠছে প্রশ্ন

নিজস্ব সংবাদ : ব্রিটেনে বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে করোনার টিকাকরন শুরু হয়েছে। কিন্তু এখনো সে দেশের বহু মানুষের মনে এই ভ্যাকসিন এর পার্শপ্রতিক্রিয়া ও কার্যকারিতা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে ব্রিটেনের প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ এবং আমেরিকার প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে অসম্মতি জানিয়েছেন। সেই সংশয় দূর করতে এগিয়ে এলেন ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। নিজের ৯৯ বছর বয়সী স্বামীর সঙ্গে আজ বাকিংহাম প্রাসাদে ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন তারা। এর আগে একই রকম পদ্ধতিতে আমেরিকার সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করার জন্য টিকা নিয়েছিলেন হবু রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন।

পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নত দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা সাধারণ মানুষের মন থেকে করোনা ভ্যাকসিনের ব্যাপারে ভীতি দূর করার জন্য নিজেরা ভ্যাকসিন সর্বাগ্রে গ্রহণ করলেও করোনায় সারা বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ ব্যাপারে নিরব আছেন। অনেকে এটা তার এই ব্যাপারে অসম্মতি লক্ষণ বলে মনে করছেন। আসলে তার এই ভ্যাকসিনের ওপর আস্থার অভাব আছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে। রাষ্ট্রীয় জনতা দল বিশিষ্ট নেতা তেজ প্রতাপ মোদিকে করোনা ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার ব্যাপারে সাধারণ মানুষের মন থেকে ভীতি দূর করার জন্য সর্বপ্রথম করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। ভারত বায়োটেক ইন্ডিয়া লিমিটেডের তৈরি কোভ্যাকসিন এখনো পর্যন্ত তৃতীয় পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল সম্পন্ন না করলেও ব্যাবহারের জন্য মঞ্জুরি পেয়েছে মোদি সরকারের কাছে থেকে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। ইন্দোরের এক ব্যক্তি আবার এই ভ্যাকসিন গ্রহণের ১০ দিনের মাথায় মারা গিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তাই সাধারণ মানুষের দাবি করোনা ভ্যাকসিনের ব্যাপারে সর্বসাধারণের সংশয় দূর করতে সবার প্রথম এগিয়ে আসুক তথাকথিত জননেতা নরেন্দ্র মোদি। তবে তিনি যে আসবেন না তা সাম্প্রতিক গতিবিধি থেকে নিশ্চিত বলেও মত ওয়ালিবহাল মহলের।

Latest articles

Related articles