
প্রায় দুই বছর পালিয়ে থাকার পর কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার ও প্রাক্তন আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ড. দেবেন্দ্র শর্মা অবশেষে ধরা পড়ে। দিল্লি পুলিশের এক বিশেষ দল সোমবার রাজস্থানের দৌসা জেলার একটি আশ্রম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। জানা গিয়েছে, আশ্রমে তিনি এক ভুয়া পরিচয়ে সাধুর বেশে লুকিয়ে ছিলেন।
ড. শর্মা ৬৭ বছর বয়সী ড. শর্মার বিরুদ্ধে একাধিক খুন ও বেআইনি কিডনি প্রতিস্থাপন চক্র চালানোর অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত। তিনি তিহার জেলে যাবজ্জীবন সাজা কাটছিলেন। ২০২৩ সালের ৯ জুন তাকে দুই মাসের প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়, কিন্তু সময় শেষ হলে তিনি আর ফেরেননি। জানা যায় যে এটিই প্রথমবার নয়, এর আগেও ২০২০ সালে তিনি একইভাবে প্যারোলের সুযোগে পালিয়েছিলেন।
দিল্লি পুলিশের ক্রাইম শাখার ডিসিপি আদিত্য গৌতম জানান, শর্মার খোঁজে দীর্ঘ ছয় মাস ধরে বিভিন্ন রাজ্যে তল্লাশি চালানো হয়। শেষ পর্যন্ত দৌসার একটি আশ্রমে তার অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আলিগড়ের বাসিন্দা শর্মা ১৯৮৪ সালে আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় ডিগ্রি অর্জন করেন। কিন্তু ১৯৯০ সালের দিকে একটি গ্যাস এজেন্সি প্রতারণায় টাকা হারানোর পর তিনি অপরাধের পথে পা দেন। ১৯৯৫ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে তিনি ১২৫টির বেশি বেআইনি কিডনি প্রতিস্থাপনে জড়িত ছিলেন।
এছাড়া তিনি বিভিন্ন গাড়ি চালকদের ফাঁদে ফেলে খুন করে তাদের গাড়ি বিক্রি করতেন। ২০০৪ সালে তাকে প্রথম গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ৫০টির বেশি খুনের কথা স্বীকার করেছেন। বর্তমানে তিনি আবার পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন এবং নতুন মামলার প্রস্তুতি চলছে।