এনবিটিভি ডেস্ক: আজানের সময়ে ব্যবহার করা যাবে না লাউডস্পিকার বা অ্যামপ্লিফায়ার। শব্দের জন্য ব্যবহৃত ওই সকল বৈদ্যুতিন সামগ্রী মসজিদ থেকে বর্জনের দাবিতে দায়ের করা হল মামলা।
মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে এই মর্মে পিটিশন দাখিল করেছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। এদিন রাতেই তিনি তা সকলের উদ্দেশ্যে জানিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। রাতের দিকে নিজের ফেসবুক পেজে অর্জুন লিখেছেন, “আজানের সময় লাউডস্পিকার আর অ্যামপ্লিফায়ারের ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়ে আমি আজ মহামান্য কলকাতা হাই কোর্টে একটি পিটিশন জমা দিলাম।”
আজানের জন্য লাউডস্পিকারের ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক নতুন কিছু নয়। যা নিয়ে আগেও বভিন্ন সময়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে উত্তরপ্রদেশের জৌনপুর জেলার বাদ্দোপুর গ্রামে অবস্থিত দুটি মসজিদে আজানের সময়ে মাইক ব্যবহারে নিষিদ্ধ করেছিল আদলত। এলাহাবাদ হাইকোর্ট সেই রায় দিয়েছিল।
বিচারপতি পঙ্কজ মিথাল এবং ভিপিন চন্দ্র দীক্ষিতের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, “প্রার্থনা করার সময়ে মাইক ব্যবহার করতে হবে বা বাজনা বাজাতে হবে এটা কোনও ধর্মই শেখায় না। আর যদি সেরকম কোনও ধর্মীয় আচার থেকেই থাকে, তাহলে নিশ্চিত করতে হবে যাতে অন্যদের তাতে বিরক্তির উদ্রেক না হয়।”
এলাহাবাদ হাইকোর্টের সেই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে নিজেকে নাস্তিক বলে দাবি করা লেখিকা তসলিমা নাসরিন টুইট করেছিলেন, “আজান ঠিক আছে, কিন্তু লাউডস্পিকার নয়। শব্দদূষণ কখনই মেনে নেওয়া যায় না।” একই সঙ্গে ইসলামের অনুসারীদের প্রতি তাঁর প্রশ্ন, “১৪০০ বছর আগে কি লাউডস্পিকার ছিল?” উত্তর অবশ্য তিনি নিজেই দিয়েছেন, “না।”