ভিন্ন ধর্ম-বর্ণ বিয়ের নিরাপত্তায় প্রয়োজনে দেওয়া হবে পুলিশি নিরাপত্তা, ঘোষণার সুপ্রিম কোর্টের

নিউজ ডেস্ক : বর্তমান সমাজ কে উন্নত থেকে আরো উন্নততর করতে সরকারকে নিতে হচ্ছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। বর্তমানে মনে করা হচ্ছে, যুগন্যতি না ঘটলে দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।বর্তমান যুগে সামাজিক চেতনা ফেরাতে সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক আরেকটি নতুন নির্দেশনা জারি হল। তাতে বলা হয়েছে, যেকোনো ধর্ম-বর্ণের ছেলে-মেয়ে অন্য ধর্ম-বর্ণের ছেলে বা মেয়েকে তার জীবন সঙ্গিনী রূপে গ্রহণ করতে পারে। যদি পরিবার এই বিয়েতে জোরপূর্বক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চায় তবে সরকারি তদারকে পুলিশি নিরাপত্তা দেয়া হবে তাদের(নব দম্পতি)।

আধুনিক সমাজ বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী “ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে যতই বৈবাহিক সম্পর্ক সংস্থাপন হবে ততই দেশ থেকে হিংসা,অত্যাচার ইত্যাদি বিলুপ্ত হতে থাকবে। শেষ হবে ধর্মীয় গোঁড়ামি, সূচনা হবে নতুন যুগের”। তাই সুপ্রিম কোর্টের এই ঘোষণা শুনে রীতিমতো খুশি হয়েছেন দেশের মুক্তমনারা।

সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য “কোন পুরুষ বা মহিলার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে তার নিজের জীবনসঙ্গিনীকে নির্ধারণ করার। আর সেটা মেনে নিতে হবে সমাজকে এবং এটাই উচিত”। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সঞ্জয় কৃষ্ণ আরও বলেন,” যদি কোন মা-বাবা বা প্রতিবেশী ভিন্ন ধর্ম-বর্ণ বিবাহে কোন রকমেরও ব্যাবস্থা নেয় তবে তার জন্য সরকারি তদারকে পুলিশি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে”।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে কর্নাটকের এক অধ্যাপক দম্পতি বাড়ির অমতে পালিয়ে বিয়ে করেন! রীতিমতো মেয়েকে ফিরে পাওয়ার আশায় উচ্চ আদালতে এফ আই আর করেন যুবতীর মা-বাবা। কিন্তু পরিবার কর্তৃক যেমনটা আশা করেছিল হয়েছে তার বিপরীত! উচ্চ আদালত থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হয়েছে যদি কোন প্রাপ্তবয়স্ক নারী বা পুরুষ নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী বিবাহ করে তাতে মা-বাবার কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এবং প্রাপ্তয়স্ক ওই ছেলে – মেয়ের বিরুদ্ধে পরিবারের তরফ থেকে কোন এফআইআর গ্রহণ করা হবে না।

Latest articles

Related articles