নিউজ ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর এর সঙ্গে রাজ্যের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের বিবাদ প্রকাশ্যে এসেছে বারবার। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি থেকে শিল্প উন্নয়ন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন থেকে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সম্পর্ক সমস্ত বিষয় রাজ্য সরকারের সমালোচনা মুখর হতে দেখা গেছে রাজ্যপালকে। পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসের এখনও পর্যন্ত কোন শাসক দলের সঙ্গে রাজ্যপালের এমন বিরোধ বেনজির। আর তেমনই এক বেনজির পদক্ষেপ এবার গ্রহণ করতে চলেছে মমতা সরকার। রাজ্যে বিধানসভার আসন্ন অধিবেশনে প্রারম্ভিক ভাষণ দিতে দেখা যাবে না রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে। এ ব্যাপারে টুইট করে রাজ্য সরকার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র সমালোচনা করেছেন রাজ্যপাল। নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে এবারের বিধানসভা অধিবেশনে ভোট অন একাউন্ট এবং তার ওপর আলোচনা হবে। অধিবেশন শুরু আগামী ৫ ই ফেব্রুয়ারি। বটন একাউন্ট এর বিষয়ে আলোচনা হবে ৬ এবং ৮ তারিখে।
সাধারণত যে কোন রাজ্যের বিধানসভার উদ্বোধনী ভাষণ সেই রাজ্যের রাজ্যপালই দিয়ে থাকেন। পশ্চিমবঙ্গের এযাবৎকাল পর্যন্ত সমস্ত বিধানসভা অধিবেশনেই এই প্রথা দেখা গিয়েছে। কিন্তু এবার তা দেখা যাবে না। এজন্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর সংবিধানের ১৭৬ নম্বর ধারার উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী, যে কোন রাজ্যের বিধানসভা অধিবেশনের শুরুতে রাজ্যপাল প্রাথমিক ভাষণ দেবেন। এটা মমতা সরকার কোনভাবেই এড়িয়ে যেতে পারে না।
তবে কেন এবং কিসের ভিত্তিতে মমতা সরকার এমন নজির বিহীন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে সে ব্যাপারে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ জানিয়েছে, সাধারণত রাজ্যপাল তার ভাষণে সেই রাজ্যের রাজ্য সরকারের জনমুখি এবং উন্নয়নমূলক কর্মসূচি তুলে ধরেন তার ভাষণে। কিন্তু রাজ্যের বর্তমান রাজ্যপালকে কোন ক্ষেত্রেই রাজ্যের মমতা সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মসূচিগুলোর প্রশংসা করতে দেখা যায়নি বরং বারবার তিনি সোচ্চার হয়েছেন মমতা সরকারের সমালোচনায়। উল্লেখ্য, গত বার রাজ্যপাল মমতা সরকারের তৈরি করে দেওয়া ভাষণ দিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন তিনি মমতা সরকারের তৈরি করে দেয়া ভাষণের রূপরেখার সঙ্গে একমত নন। তাই এবার শিয়রে বিধানসভা নির্বাচন রেখে রাজ্যপালকে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করতে দেওয়ার ঝুঁকি নিতে চাইছে না রাজ্যের শাসক দল।