নিউজ ডেস্ক : জালিমের গুলিতে রক্তাক্ত বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বায়তুল মোকাররম মসজিদ। জুমা বাদ পুলিশের চালানো গুলিতে অনেক মুসুল্লী এবং হাটহাজারী ছাত্র আহত বলে খবর পাওয়া গেছে। মোদির বাংলাদেশ আগমনের বিরোধিতা করে বের করা প্রতিবাদ মিছিলে গুলি চালিয়েছে হাসিনার পুলিশ বাহিনী। সঙ্গে ছিল আওয়ামীলীগের কুখ্যাত ছাত্রলীগের বহু সদস্য বলে জানা গিয়েছে। এমনকি জুমা নামাজের পর মুসুল্লিদের ওপর গুলি চালিয়ে এবং টিয়ার গ্যাস ফাটিয়ে বায়তুল মুকাররম মসজিদের মধ্যেও প্রবেশ করে পুলিশ। তারা সেখানে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে মুসুল্লিদের উদ্দেশ্য করে। মসজিদের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় আহত মুসুল্লী এবং ছাত্রদের পড়ে থাকার ছবি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে দেখা যাচ্ছে। পুলিশের গুলিতে এখনও পর্যন্ত অন্তত ৪০ জন মুসুল্লী এবং হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্র আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কজনক বলে জানানো হয়েছে মাদ্রাসার তরফ থেকে।
অসমর্থিত সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এখনো পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে। তবে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করেনি সরকার বা পুলিশ। আহতদের ভ্যান রিকশায় করে স্থানীয় হাসপাতাল এবং নার্সিং হোমে ভর্তি করেছেন মুসুল্লিরা। হাটহাজারী মাদ্রাসার উত্তেজিত ছাত্ররা পরে হাটহাজারী মডেল থানা ঘেরাও করে বলে পুলিশ জানিয়েছে। সেখানেও তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি চালিয়েছে। সেখান থেকে সরে এসে তারা হাটহাজারির মূল গেটে অবস্থান নিয়ে সংলগ্ন রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে।
মুসলিম বিরোধী মোদিকে বাংলাদেশে ঢুকতে না দেওয়ার ঘোষণা আগেই দিয়েছিল বাংলাদেশের অসংখ্য সংগঠন। কিন্তু তা পরোয়া না করেই মোদি এবং হাসিনা সরকার তাদের পূর্ব নির্ধারিত সফরসূচি বজায় রাখে। আজ সকালে মোদি ঢাকায় অবতরণ করেন। আর তার প্রতিবাদেই লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশি জনতা রাজপথে নেমে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন।